- রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌরুটে নব্যতা সংকটে ফেরি চলাচল মারাত্নক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দৌলতদিয়া নৌরুটের ঢাকা খুলনা মহাসড়কে নদী পাড়োর অপেক্ষায় আটকে পড়া গাড়িতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সংখ্যাই বেশি। ফলে মহাসড়কের উপর দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও সংশ্লিষ্টদের।
তবে ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মার পানি হ্রাস পাওয়ায় ফেরির পন্টুন থেকে পানি অনেক নিচে নেমে গেছে। এর ফলে প্রত্যেকটি ঘাটে ফেরিতে গাড়ী ওঠা-নামায় অনেক বেশি সময় লাগছে। এছাড়া নাব্যতা সংকটের কারণে চলাচলকারী ফেরিগুলোকে সাবধানতার সাথে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে সময়ও বেশি লাগছে।
আজ সোমবার (১৪ মার্চ) সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় সাড়ে ৬শত পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। দূরপাল্লার বাস ও পচনশীল দ্রব্যের যানবাহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরি পারাপার হতে পারলেও অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলো সিরিয়ালে আটকে থেকে ফেরির অপেক্ষায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা কাভার্ডভ্যান চালক ইখলাস শেখ খোলা কাগজ কে জানান গতকাল রাত চারটায় এসে জমিদার ব্রীজ এলাকায় সিরিয়ালে আটকালেও রাত থেকে এ পর্যন্ত মাত্র মডেল হাইস্কুল পর্যন্ত এসেছি। এখন বারোটা বাজে গত দুই ঘন্টায় এক হাত ও এগুতে পারিনাই। সারারাত জ্যাম ঠেলতে হয় সাথে ডাকাতি ছিনতাই আতংক রয়েছে। দালালরা মোটরসাইকেল নিয়ে সারারাত জালায় বিশেষ করে ভোরে দরজা খোলার জন্য ধাক্কা ধাক্কি করে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কপোর্রেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্য চৌহান বলেন, এ নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করছে নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় ফেরিতে লোড-আনলোডে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে এছাড়াও অতিরিক্ত গাড়ির চাপও রয়েছে। বর্তমানে এ নৌরুটে ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।