- উজ্জল হোসেন (পাংশা) রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি মার্কেটে ১৩টি দোকান সহ মোট ১৫টি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ১এপ্রিল দিবাগত রাত ১ টার দিকে উপজেলার বাগদুলী বাজার মিয়া মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা।
সরেজমিনে গেলে মিয়া মার্কেটের পুড়ে যাওয়া দোকান ব্যবসায়ীরা জানান, এই মার্কেটে ১৩টি দোকান ঘর ছিল। ৭জন ব্যবসায়ী এই ১৩টি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। এরমধ্যে দুটি ফার্নিচার, সাইকেল মিকার, করাত কল, চাইচ মিল ও একটি চায়ের দোকান ছিলো। ১৩ দোকান ঘর ও দোকানের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, আগ্নিকাণ্ডের সময় সাইকেল মিকার নাজমুলের দোকানে থাকা ঝালায়ের কাজে ব্যবহৃত একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে আগুন আরোও মারাত্মক রূপ ধারণ করে মার্কেটের সকল দোকানে ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে পাংশা ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে মার্কেটের সবগুলো দোকান পুড়ে যায়।
মার্কেটের ফার্নিচার ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান শিতল বলেন, মার্কেটের ৩ টি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে সোহাগ ফার্নিচার নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলাম। আমার দোকানে থাকা সকল ফার্নিচার আগুনে পুড়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১০ লক্ষাধিক পরিমান টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অপর এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, মার্কেটের তিনটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে একটি ফার্নিচার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। আমার ঘরে থাকা ২০টি খাট, ৩ সেট সুফা, ৩টি ওয়াল কেবিনেট সহ অনেক কাঠ ছিল। এ আগুনে সবকিছু পরে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাইচ মিল ব্যবসায়ী আতর বিশ্বাস বলেন, মার্কেটের ৫টি ঘর ভাড়া নিয়ে রাইচ মিল পরিচালনা করে আসছিলাম। আমার মিলে ১টি ধান, ১টি গম, ১টি ছাল, ১টি তেল, ১টি চাউল, ১টি ডাউল, ১টি চিরা, ১টি হলুদ ও মরিচ ভাঙানো মেশিন ছিল। সবগুলো মেশিন মটর সহ পুড়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ৩০ লক্ষাধিক পরিমান টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মিয়া মার্কেটের পাশের দুটি দোকান ঘর সহ মালামাল পুড়ে গেছে। এতে পায় ২ লক্ষাধিক পরিমান টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাগদুলী বাজার শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি মো. কেছমত আলী শেখ বলেন, আমরা ধারণা করছি বিদ্যুতের শট সার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকের দোকান ঘর সহ ক্ষয়ক্ষতির টাকার পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা। তবে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনলে পুরো বাজারই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যেত।
পাংশা ফায়ার স্টেশন অফিসার রয়েল আহমেদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ততক্ষণে মার্কেটের সবগুলো দোকান পুড়ে যায়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করেছেন তিনি।