Sunday, November 24, 2024

গোয়ালন্দে টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু, উপকার ভোগীর সংখ্যা বাড়ানোর দাবী

মোজাম্মেলহক, গোয়ালন্দঃ  সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে টিসিবির কার্যক্রম চলছে।এখানে চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে মোট উপকার ভোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭৫৪ জন।তবে এ সংখ্যা বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার বিকেলে (১১ এপ্রিল) দ্বিতীয় ধাপে টিসিবির পণ্য বিক্রিকালে উপজেলার কয়েকটি বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সি।

প্রতিটি কেন্দ্রে নির্ধারিত টিসিবির কার্ড ধারী ছাড়াও আরো বহু লোককে টিসিবির পণ্য কিনতে ভীর করতে দেখা যায়। এ সময় জনপ্রতিনিধি,টিসিবির ডিলার ও সাধারন জনগন টিসিবির উপকার ভোগীদের সংখ্যা বাড়ানো ও এ কার্যক্রম চলমান রাখার দাবী জানান।

জানা গেছে, গত ২২ মার্চ এ উপজেলায় টিসিবির কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন হতে অদ্যবধি প্রতি উপকার ভোগীকে দুইবার করে পণ্য দেওয়া হয়েছে। ৫৬০ টাকা পণ্যের প্যাকেজে রয়েছে প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি করে ছোলা।

মের্সাস শাপলা ট্রেডার্স ও মেসার্স জামান ট্রেডার্স নামের স্থানীয় দুইটি প্রতিষ্টান ১৫ টি কেন্দ্র হতে পণ্যগুলো বিক্রি করছে।
পণ্য কিনতে আসা উজানচরের বাসিন্দা আব্দুর রহিম,খালেক শেখ,ছকিনা বেগম, কুলছুম বেগম,ছোট ভাকলার আলামীন,কুরবান শেখ, আজাহার ব্যাপারী, দৌলতদিয়ার রুবি বেগম,আবুল কাশেম সহ অনেকেই বলেন, তারা অতি দরিদ্র মানুষ। টিসিবির কথা শুনে কম দামে পণ্য কিনতে এসেছেন। কিন্তু ডিলারের তালিকায় নাম না থাকায় পণ্য কিনতে পারেননি।আমাদের মতো আরো বহু মানুষ রয়েছে তাদেরকে তালিকা ভুক্ত করে সারা বছরই এ কার্যক্রম চালু থাকা দরকার।
পরিদর্শনকালে ছোটভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন,টিসিবির পণ্যেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।তার ইউনিয়নে ১ হাজার ৪৯০ জন নিন্ম আয়ের মানুষ এ সুবিধা পাচ্ছে। এ সংখ্যা আরো বাড়ানো সম্ভব হলে ভালো হতো।

গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পবিত্র রমজান মাসে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির কার্যক্রম চালু করার মাধ্যমে অত্যান্ত মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্র হতে সুশৃংখল ভাবে এ পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর মধ্যে টিসিবির পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।নদী ভাঙন কবলিত এই উপজেলায় টিসিবির উপকার ভোগীর সংখ্যা আরো বাড়ানো সম্ভব হলে ভালো হতো। আমি এ বিষয়ে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here