খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শুধু রমজানে নয় সারাবছর যাতে ভোক্তা নিরাপদ খাদ্য পায় সেটা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।
জনসচেতনতা বাড়াতে আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ভোক্তার কাছে নিরাপদ খাবার পৌঁছে দিতে কাজ করুন।
আজ সচিবালয়ে তার কার্যালয় থেকে ‘রমজানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য অফিসের কার্যক্রম দৃশ্যমান করতে হবে। ভোক্তা সচেতন না হলে সফলতা আসবে না। সেকারণে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ভোক্তাকে সচেতন করার পাশাপাশি ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে খাদ্য ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। এসময় তিনি নিজস্ব কার্যক্রম সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরতে কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
খাদ্য সচিব বলেন, সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তাগণ কাজ করে চলেছেন। এসময় রমজানে স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি মোটিভেশনাল কার্যক্রম গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, পবিত্র রমজানে নিরাপদ ইফতারি তৈরি ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে সারাদেশে ২ হাজার ৫৬০ জন খাদ্য ব্যবসায়ীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও পোস্টারিং করা চলমান রয়েছে। সভায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মেট্রোপলিটন ও জেলা পর্যায়ের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তারা অংশ নেন।