Sunday, November 24, 2024

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলেকে ভূমিহীন কৃষক দেখিয়ে প্রতারনার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ  রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন এবং তার স্বামী সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তার স্বামী কাইয়ূম মোল্লা তাদের সন্তান পিয়াস মাহমুদ যিনি ঢাকা কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমান দেশের বড় প্রতিষ্ঠান আর এফ এল এ কর্মরত আছেন তাকেই ভূমিহীন কৃষক দেখিয়ে দরিদ্র অসহায় মানুষের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কাইয়ূম মোল্লা বর্তমান গোয়ালন্দ বাজার আড়ৎপট্টি এলাকায় নিজের বাড়িতে বসবাস করছেন। এ ছাড়াও গোয়ালন্দ বাজার প্রধান সড়কে রয়েছে তার পৈতৃক বাড়ি।অথচ তার এই সন্তান পিয়াস মাহমুদকে ভূমিহীন দেখিয়ে ৩১/০৮/২০১০ তারিখে দক্ষিন দৌলতদিয়ার ৪৭ নম্বর মৌজার বিএস ০১ ক্ষতিয়ানের. ৪২ একর জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও আশেপাশে আরও কিছু জমি জোর করে ভোগ দখল করে আছেন তিনি।

জনাব কাইয়ুম মোল্লা ভাইস চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তার এই সন্তানকে ভূমিহীন কৃষক দেখিয়ে তার নামে জমি লীজ নেন। তার একাজে জেনে শুনে কিছু অসাধু কর্মকর্তা সহযোগিতা করেন। যেখানে কয়েকটি অসহায় পরিবার গত ৬০ বছর ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

অফিসে অফিসে ঘুরে নালিশ করে, নোটিশ দিয়ে ও কোন সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোনঠাসা করে রাখা হয় তাদের। তৎকালীন এডিসি, ভূমি কর্মকর্তা বারবার জরিপে পাঠালে সেগুলো অফিস থেকেই গায়েব হয়ে যায়। সাবেক দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল একটি সই পর্যন্ত করেনি কাগজে এই পরিবারের জন্য।

ভুক্তভোগী লিয়াকত আলী সেক বলেন পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা এখানে ৬০ বছর ধরে বসবাস করছি কিন্তু সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাইয়ুম মোল্লা তার সন্তান পিয়াস মাহমুদের নামে এই জমি ভূমিহীন কৃষক দেখিয়ে তার নামে লিজ আনে এবং আমাদের এখানে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মান করে তখন আমি বিভিন্ন অফিসে ঘুরে নালিশ জানাই যা এখনো চলমান রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে আজও আমরা আমাদের জমি ফিরে পাইনি।

গোয়ালন্দ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার স্বামীর সাথে কথা বলেন তার স্বামী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব কাইয়ুম মোল্লাকে বলা হয় আপনার পিয়াস মাহমুদের নামে ৪২ শতাংশ জমি লীজ নেওয়া হয়েছে ভূমিহীন কৃষক দেখিয়ে এটা সত্যি কি না? তিনি এটার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এরপর বলেন সেতো ভূমিহীন আমি জমি না দিলে এখন তো তার নামে কোন জমি নেই। অন্যান্য পরিবার যারা গত ৬০ বছর ধরে বসবাস করছেন তাদের হুমকি ধামকি দেওয়ার ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান আমি তাদের সাথে মিলে মিশে আছি। হুমকি দেওয়ার কথা মিথ্যা। তিনি যেভাবে জমি লীজ নিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় সেটা ঠিক কি না। এব্যাপারে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেন নাই।

গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি জনাব রফিকুল ইসলামের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে তিনি ব্যাপারটি জানেন। এবং এটি সম্পূর্ণ অবৈধ একটি প্রক্রিয়া। একটা মাষ্টার্স পাশ ছেলে যে ভালো চাকরি করছে সে ভূমিহীন কৃষক হয় কি করে। আমি ব্যাপারটি জানার পর থেকেই এটি বাতিল করার জন্য কাজ করছি। আশা করি শীঘ্রই এটি বাতিল করে অসহায় মানুষ যারা এটা ভোগ করছিল তাদের কাছে ফেরত দেওয়ার ব্যাবস্থা করছি।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here