উজ্জল হোসেন, পাংশা (রাজবাড়ী) : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও পাংশা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাসের একটি আর্থিক লেনদেনের ভিডিও সম্প্রতি টিকটক ও ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাসের দাবি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি চাঁদাবাজীর নয় ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ডিসক্রিপশনের লেখা হুবহু তুলে ধরা হলো, রাজবাড়ির পাংশা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও পাংশা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, উপজেলা নিজ কক্ষে বসে, সাধারণ জনগণের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে, আমরা রাজবাড়ি, পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দির সাধারণ জনগণ এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং পাংশা মডেল থানা প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এর যেন সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার হয়।
ভিডিওটি যে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্পষ্ট করে বোঝা যায়। তবে ভিডিওটিতে একজন মহিলা কণ্ঠে বলতে সোনা যায়, টাকাটা কিন্ত আমি মনের থেকে দিলাম না। আমার অনেক কষ্টের টাকা। এই টাকাটা যে এই ভাবে নিচ্ছেন, আমি আখিঁরাতেও এই টাকার দাবি ধরে রাখবো। কথা সোনা গেলেও দেখা যায়নি মহিলাকে।
এ বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, গত ২৯ জুন-২০২১ ইং তারিখে রাজবাড়ী জেলা পরিষদ থেকে পাংশা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নং খতিয়ানের ৩২৪ নং দাগের ৫ শতাং জমি লিজ নেন। তার লিজকৃত জমিতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাটি ফেলে ভরাট করি এবং কিছু কাজ করি। পরে আমি জানতে পারি গত ১৫ নভেম্বর-২০২১ ইং তারিখে একই জমি সৌদি প্রবাসী মাসুদ মিয়ার নামে ইজারা দিয়েছে রাজবাড়ী জেলা পরিষদ ।
এমতাবস্তায় গত ডিসেম্বর আমাদের দুই পক্ষকে রাজবাড়ী জেলা পরিষদে ডেকে নিয়ে আমার ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে ঐ দাগের পূর্বপাশ্বে সমপরিমান জমি আমাকে বুঝিয়া দেবে বলে জেলা পরিষদ ঘোষণা দেয়। এসময় সৌদি প্রবাসী মাসুদ মিয়ার স্ত্রী লাকি খাতুন, তার বড়ভাই তোফায়েল ও ছোটভাই ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন বলেন জানান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস।
তিনি আরোও জানান, বর্তমানে আমাকে রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করার জন্য কিছু সন্ত্রাসী ঐ মহিলার এই ধরনের কথা রেকর্ড করে এডিটিং করে টিকটক ও ফেসবুকে ছাড়াচ্ছে। যে সকল ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি ছড়িয়েছে । এমন ৭টি আইডি চিহ্নিত করে গত ১০ জুন পাংশা মডেল থানায় একটি জিডি করেছেন তিনি।জিডি নাম্বার -৩৯৮।
পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে এবং জিডি’র তদন্ত চলমান রয়েছে।