নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নিয়ম রয়েছে চব্বিশ ঘন্টাই জনগনের সেবায় নিযুক্ত থাকবেন নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। কিন্তু গত ২২ ও ২৩ শে জুন পর পর দুইদিন ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়েই যান নি রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউপি’চেয়ারম্যান ও রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারোন সম্পাদক শেখ মোঃ ওহিদুজ্জামান।
২৩শে জুন( বৃহস্পতিবার) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদের ইউডিসিগন ও সচিব কাজ করছেন। জন্ম নিবন্ধন ও অন্যান্য সেবা গ্রহীতারা সেবা নেওয়ার জন্য বসে আছে ইউনিয়ন পরিষদে। সকল কাজেই চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। চেয়ারম্যান নেই এ কারনে অনেককেই ফিরে যেতে দেখা যায়। তবে চেয়ারম্যান কেন আসেন নি বা কোথায় আছেন যানেন না কেউ।
এবিষয়ে মূলঘর ইউনিয়নে সচীব আঃ সাত্তার মোল্লা বলেন, চেয়ারম্যান কেন আসেন নি দুইদিন আর কোথায় আছে সেটা আমি জানিনা আর আমার জানারও কথা না। কারন তিনি একজন চেয়ারম্যান তার বিষয় তিনিই জানেন।
মূলঘর ইউনিয়ন ইউডিসি (উদ্যোগতা) সাব্বির মাহমুদ বলেন, চেয়ারম্যান আসেন নি ইউনিয়ন পরিষদে আর কেন আসেন নি তা আমার জানা নাই।
সেবা নিতে আসা মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের বাসীন্দা মোঃ বশিউল্লাহ গাজী বলেন জন্মনিবন্ধনের আবেদন করার জন ও ব্যাক্তি গত আরেকটি কাজে এসেছি ,চেয়ারম্যান কে আজকে দেখিনাই।
জন্মদিবন্ধনের জন্য কেউ আসলে তাদের সহয়তা করেন নিতাই পদ দাস। তিনি বলেন গতকাল ও আসেন নি আজকেও আসেন নি চেয়ারম্যান। কোথায় গেছেন জানিনা।
সরেজমিনে ২৩শে জুন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ ওহিদুজ্জামানের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় একজন মহিলা সহ চার-পাচজন দাঁড়িয়ে আছেন বাড়ীর বাইরে । তারা জানান, বিভিন্ন কাগজে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিতে এসেছেন।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান শেখ মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন, আগেরদিন সকালে পরিষদের গিয়েছিলাম ,বৃষ্টি ছিলো আর কাজ তেমন ছিলো না এ জন্য সকাল সকাল চলে আসি। আর আজকে দলীয় পোগ্রাম ছিলো সকালে গিয়েছিলাম রাজবাড়ীতে ,শরীর ভালো লাগছে না। তাই আর যাওয়া হয় নি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মার্জিয়া সুলতানা বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের চব্বিশ ঘন্টাই জনগনের সেবা করার কথা রয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীদের মত তাদের বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তবে দুইদিন ইউনিয়ন পরিষদে তিনি যাননা এটা মেনে নেওয়ার মত ঘটনা না। আমি বিষয়টি অবশ্যই দেখবো।