Saturday, November 23, 2024

দেড় বছর চিকিৎক শূন্য রাজবাড়ীর মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজবাড়ী শহরের বেড়াডাঙ্গায় অবস্থিত রাজবাড়ী মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র দেড় বছর চিকিৎক শূন্য । গত ৮ই মার্চ ২০২১ সালে চিকিৎক ডাঃ গোপাল সূত্র ধর বদলির পর এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎক এখানে আসেন নি।

দীর্ঘদিন যাবত রাজবাড়ীর মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) না থাকায় জরুরী প্রসূতি সেবা বন্ধ রয়েছে। গর্ভবতী মায়েরা স্বাভাবিক প্রসবসেবা গ্রহনের জন্য আসছেন না মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে।

আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে একশ থেকে দেড়শ গর্ভবতীকে এএনসি পিএনসি প্রদান করা হতো সেখানে সেখানে ৫ থেকে ১০ জনের সেবা দেওয়াও সম্ভব হচ্ছেনা।

রাজবাড়ী জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকে সিএস বিএ ও পরিবার কল্যান পরিদর্শকগণ জটিল ও গর্ভবতী মায়েদের মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে রেফার করতে পারছেন না। ফলে সম্পুর্ন জেলার মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

রাজবাড়ী মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র এখন যেন প্রাণ হীন একটা ভবন মাত্র। আগে যেখানে চিকিৎস্যক ,নার্স ও রোগীতে পূর্ন থাকতো ,সেখানে গর্ভবতী মায়েদের সেবা নিতে দেখা যায় না।

তিন তলা বিশিষ্ট  মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের রয়েছে উন্নত অপারেশন থিয়েটার। ১০ শয্যা বিশিষ্ট আলাদা ২টি রুম ও উন্নত বেড এবং রোগীদের বিনোদনের জন্য রয়েছে টিভি’র ব্যাবস্থা। আলাদা ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার সহ সকল অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যাবস্থা। মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে গর্ভবতী রোগীদের বিনা মূল্যে অপারেশন ও ঔষদ সহ সকল সুবিধা থাকা স্বত্বেও চিকিৎক না থাকায় বে সরকারি ক্লিনিকে গিয়ে রোগীর স্বজনদের গুণতে হচ্ছে অনেক টাকা। যা একটি মধ্যবিত্ত বা গরীব রোগীর স্বজনদের জন্য আলাদা বোঝা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ,  চিকিৎকের রুমের তালা বন্ধ ,২য় তালায় যেখানে গর্ববতী রোগীরা ভর্তি থাকেন সেই বেড গুলো ফাঁকা । জরাজীর্ণ রুমে  দীর্ঘদিন বন্ধ সিলিং ফ্যানের  গোড়ায় মাকড়সার বাসা ।

একাই বসে ছিলেন ক্লিনিকের আয়া ফিরোজা । অনেক বছর ধরে তিনি কাজ করছেন এই মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে । আক্ষেপ প্রকাশ করে ফিরোজা বলেন রোগী নাই ,মানুষ জন নাই তাই ভালো লাগেনা । শুধু শুধু বসে থাকা। কবে যে ডাক্তার আসবে ? এক প্রশ্নের জবাবে আয়া ফিরোজা বলেন, এখানে ডক্তার না থাকায় রোগীরা আসেনা। সেদিন একজন আসছিলো রোগী ,তার তি নম্বর বাচ্চা । ডাক্তার নাই এজন্য সে চলে গেছে,কারন যদি নরমাল ডেলিভারি না হয় আবার ডাক্তারও নাই ,যদি কোন সমস্যা হয় !

মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের ভিজিটর ফিরোজা বলেন, সেই যে গোপাল স্যার গেলো আর কোন ডাক্তার আসে নাই। ডাক্তার  না থাকায় রোগীরাও আসে না। দুইএকটা যা ই আসে পেশার মেপে চেকাপ করে চলে যায়।

একজন ফার্মাসিস্ট কে দেখা গেছে কয়েকজন বৃদ্ধ মহিলাদের চিকিৎসা দিতে। ফার্মাসিস্ট অনিতা বলেন,ডাক্তার নাই  রোগী তেমন আসেনা । আর যারা আসে গরীব মানুষ সে সকল রোগীদের সামান্য জ্বরের বড়ি ,ব্যাথার বড়ি দেই । ‘

চিকিৎস্যক না থাকায় নষ্ট হচ্ছে অপারেশন থিয়েটারের সরঞ্জাম, প্রয়োজনী জিনিস সহ লাখ টাকার ঔষদ।

এ বিষয়ে কথা হয় জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপ পরিচালক গোলাম মোঃ আজম বলেন, ডা. গোপাল চন্দ্র সূত্র ধর বদলীর পর থেকে চিকিৎসক শূন্যতায় রয়েছে রাজবাড়ী মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র। চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। তারপরও আমরা এফডব্লিভি দিয়ে কিছুটা কাজ চালাচ্ছি ,গত মাসে ৮ জনের নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। আমরা আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি । তিনি আরও বলেন , অপারেশনের জন্য যে ঔষদ গুলো আমাদের কেনা ছিলো সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রায় দুই লাখ টাকার ইনজেকশন আইটেম ডেট ওভার হয়ে গেলে সে গুলো আমাদের ফেলে দিতেই হবে।

দীর্ঘদিন কেন নেই কোন চিকিৎসক এ প্রশ্নের উত্তর জানতে অনুসন্ধানে জানা যায়, এই মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে এমওএমসিপি ও এনেস্থিয়া অভিজ্ঞ ডাঃ নিয়ামত উল্লাহ ও বদলী হওয়া চিকিৎক গোপাল চন্দ্র সূত্র ধরের সাথে কোন বনিবনা ছিলোনা।

দীর্ঘ ২৪ বছর একই ক্লিনিকে চাকরি করছেন ডাঃ নিয়ামত উল্লাহ। শিশু রোগী দেখতেন ও এনেস্থেসিয়া দিতেন অপারেশনের রোগীদের। এমওএমসিপি ও এনেস্থিয়া অভিজ্ঞ নিয়ামত উল্লাহ স্বপরিবারে ক্লিনিকের সরকারি  কোয়ার্টারের নিচ তলায় ও চিকিৎক গোপাল চন্দ্র সূত্র ধর থাকতেন উপর তলায়। চাকুরিতে থাকা কালীন মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের গাইনি ডাঃ গোপাল সূত্র  ধর ছুটিতে ভারতে বেড়াতে গেলে ,সেই সুজোগে গোপাল সূত্র ধরের রুমের সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলেন ডাঃ নিয়ামত উল্লাহ । দুই ডাক্তারের মধ্যে দীর্ঘদীন চলে এ সমস্যা। পরে ডাঃ গোপাল সূত্র ধর বদলী হলে রাজবাড়ী মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে এ পর্যন্ত আর কোন ডাক্তার আসে নাই । ডাক্তার গোপাল সুত্র ধরের পর পর ই বদলি করা হয় মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের এফ এম এ শামীমা আক্তার কে । ‘’

কিন্ত এ পর্যন্ত মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে কোন চিকিৎসক না আশায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ গর্ভবতী মা ও শিশুরা । তাই সকলের দাবী একজন চিকিৎসক একান্ত প্রয়োজন ।

rajbarijournal.com

Rajbari Mother and Child Welfare Center located in Beradanga of Rajbari city has been vacant for one and a half years. After the transfer of Dr. Gopal Sutra Dhar on March 8, 2021, no doctor has come here till now.

For a long time, the emergency maternity services are closed due to lack of medical officer (clinic) of the mother and child welfare center of Rajbari. Pregnant mothers are not coming to Mother and Child Welfare Centers for regular antenatal care.

Earlier, where an average of 100 to 150 pregnant women were provided with ANC PNC, it is not possible to provide services to 5 to 10 people.

CSBA and family welfare inspectors from other upazilas of Rajbari district are unable to refer complicated and pregnant mothers to mother and child welfare centers. As a result, maternal and child health care of the entire district is greatly disrupted.

Rajbari Mother and Child Welfare Center is now just a lifeless building. Where earlier doctors, nurses and patients were full, expectant mothers are not seen taking care.

The three-storey Mother and Child Welfare Center has advanced operation theatres. There are 2 separate rooms with 10 beds and advanced beds and TV facilities for patient entertainment. All modern medical facilities including separate breast feeding corner. Mother and Child Welfare Center provides all the facilities including free operation and medicines for pregnant patients, but as there is no doctor, the patient’s relatives have to pay a lot of money to go to the non-government clinic. Which is a different burden for relatives of a middle-class or poor patient.

After going to the ground, it was seen that the lock of the doctor’s room is closed, the beds in the 2nd floor where pregnant patients are filled are empty. A spider’s nest at the base of a long-closed ceiling fan in a dilapidated room.

Aya Firoza of the clinic was sitting alone. She has been working in this mother and child welfare center for many years. Expressing regret, Feroza says that there are no patients, there are no people, so I don’t like it. Just sitting. When will the doctor come? In response to a question, Nanny Feroza said that patients do not come because there is no doctor here. That day a patient was coming, his child number 3. He left because there is no doctor, because if there is no normal delivery, there is no doctor, if there is any problem!

Feroza, a visitor at the mother and child welfare center, said that no doctor has come since Gopal sir left. Patients do not come because there is no doctor. Two or one that comes and leaves after checking the measure of the profession.

A pharmacist was seen treating some elderly women. Pharmacist Anita said, there is no doctor and patients do not come. And those poor people who come, we give a little fever pills and pain pills. ‘

Due to the lack of doctors, the equipment of the operation theater, necessary things and medicines worth lakhs of rupees are wasted.

Golam Md. Azam, deputy director of district family planning, said, Dr. Rajbari Mother and Child Welfare Center is vacant since the transfer of Gopal Chandra Sutra Dhar. Medical care is being disrupted. Still we are doing some work with FWL, last month 8 normal delivery. We have informed our superiors. He also said that the medicines we bought for the operation are getting wasted. We have to throw away the injection items worth about two lakh rupees when the date is over.

In the investigation to find out the answer to the question why there is no doctor for a long time, it is known that there was no construction in this mother and child welfare center with MOMCP and anesthesia veteran Dr. Niamat Ullah and the transferred doctor Gopal Chandra Sutra.

Dr. Niamat Ullah has been working in the same clinic for 24 years. Pediatric patients observed and administered anesthesia to surgical patients. MOMCP and anesthesia veteran Niamat Ullah lived with his family on the ground floor of the clinic’s government quarters and doctor Gopal Chandra Sutra Dhar on the upper floor. Dr. Niamat Ullah broke the CCTV camera of Gopal Sutra Dhar’s room when Dr. Gopal Sutra Dhar, a nurse at the Mother and Child Welfare Center, went to India on leave. This problem has been going on for a long time between the two doctors. Later, when Dr. Gopal Sutra Dhar was transferred, no other doctor has come to Rajbari Mother and Child Welfare Center. Shamima Akhtar, FMA of mother and child welfare center was transferred after doctor Gopal sutra. ”

But so far, ordinary expectant mothers and children are deprived of services due to lack of doctors in mother and child welfare centers. So everyone claims that a doctor is absolutely necessary.

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here