নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজবাড়ী শহরের পাবলিক হেলথ এলাকায় ভাড়া বাসায় অবস্থিত আস্থা প্রতিবন্ধী মা ও শিশু হাঁসপাতালে এক হাজার টাকা বাকি থাকায় রোগীকে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে, পরে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আস্থা প্রতিবন্ধী মা ও শিশু হাঁসপাতালের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
জানাগেছে, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বহরপুরের জাহাঙ্গীরের মেয়ে মদিনা (২৫)কে সিজারিয়ান সমস্যা নিয়ে ৪ নভেম্বর আস্থা প্রতিবন্ধী মা ও শিশু হাঁসপাতালে ভর্তি হন । তের হাজার টাকা মিটিয়ে অপারেশন করানো হয়। পরে ৭ই নভেম্বর সোমবার এক হাজার টাকা কম দেওয়ায় রোগীকে যেতে না দিয়ে রোগীর সিজারের যায়গায় সেলাই কাটা ও ড্রেসিং বন্ধ রাখেন ক্লিনিক কর্তিপক্ষ। রোগীর বাবা জাহাঙ্গীর জানান, ঔষধ সহ তের হাজার টাকা মেটানো হয় । কিন্তু তারা চোদ্দ হাজার টাকা দাবী করে আর দিতে অস্বীকার করায় আমার মেয়েকে বাড়ী যেতে দেয় না আর ছাড় পত্র আটকে রাখে ক্লিনিকের মালিকরা।
এ বিষয়ে আস্থা প্রতিবন্ধী মা ও শিশু হাঁসপাতালের মালিক জাকিয়া সুলতানা অভিযোগ অস্বীকার করে
জানান, কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষার টাকা পাওয়া যাবে সেগুলো দাবী করা হয়েছে। রোগীকে আমরা কেন আটকে রাখবো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সিজিয়ারিয়ান রোগী মদীনা তার বেডে শুয়ে আছে । তার ড্রেসিং করছে না নার্স টাকা পয়সার সমস্যার কারনে। এ নিয়ে ক্লিনিকে শতাধিক লোকজন জড় হয়ে যায় ও ক্লিনিকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । একজন ডাক্তার ই করেন সিজার অপারেশন, এনেস্থেসিয়া,তিনি ই আবার শিশু চিকিতস্যক ।
খবর পেয়ে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ও স্যানিটারি পরিদর্শক সূর্য্য কুমার প্রামানিক আস্থা প্রতিবন্ধী মা ও শিশু হাঁসপাতালে পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ডাক্তারের কাগজপত্র দেখেন ও রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলেন। ইতমধ্যেই ক্লিনিকের ডাক্তার আতিকুল ইসলাম সুকৌশলে পালিয়ে যান। পরে সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে ক্লিনিক মালিক কে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ সিভিল সার্জন অফিসে যেতে বলেন আর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকের সকল কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
ভাড়া বাসায় আস্থা প্রতিবন্ধী মা ও শিশু হাঁসপাতাল টি শহরের পাবলিক হেলথ এলাকায় দীর্ঘদিন চলে আসলেও এখানে কোন প্রতিবন্ধী মা ও শিশু দেখা যায় নি। প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।
ঘটনার সময় শতাধিক জনসাধারনের ভীড় লক্ষ করা যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজবাড়ী সদর থানার একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় বিল্ডিং এর প্রকৃত মালিক শিউলি আক্তার এসে ক্লিনিক মালিক জাকিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন।
তিনি জানান, আমার যায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে একাধিক বার ,কিন্ত জোড় করে ভয় দেখিয়ে এখানে ক্লিনিক পরিচালনা করছে জাকিয়া সুলতানা। আমার বিল্ডিং দেখিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্ঠা চালাচ্ছে এমন কি আমার বিল্ডিং দেখিয়ে একাধিক মানুষের থেকে অনেক টাকা নিয়েছে। এ জন্য আমি তাকে আমার বিল্ডীং ছেড়ে দিতে বলেছি ,সে যায় নি।
আজ যেহেতু অনেক মানুষ ও থানা পুলিশ রয়েছে ,তাদের সামনে ক্লিনিকের মালিককে ক্লিনিক ছেড়ে চলে যেতে বলেছি, তারা চলে গেছে। কিন্তু তাদের মালামাল আমি তালা দিয়ে সুরক্ষিত রেখেছি তারা যখন আসবে আমি সেগুলো তাদের দিয়ে দেব।