Friday, April 19, 2024

পদ্ম পাতার বানিজ্যক সম্ভাবনা 

নেহাল আহমেদ,রাজবাড়ী: জীবনের সাথে তুলনা করে বলা হয়ে থাকে। জীবন সে তো পদ্মা পাতার শিশির বিন্দু।যাই বলা হোক পদ্ম ফুল যেমন সৌন্দর্যময় তেমনি এর পাতাও হতে পারে বানিজ্যিক এক সম্ভাবনা ক্ষেত্র। পদ্ম ফুলের চাহিদা সারাবছর থাকলেও, নবরাত্রি আর দুর্গা পুজোর সময়টাতে এর চাহিদা প্রচুর থাকে।

এই সময় পদ্ম চাষিদের লাভের পরিমাণ সর্বাধিক হয়। এই ফুলের পাতাগুলির চাহিদা খাবার খাওয়ার পাত্র হিসাবেও প্রচুর। পাতা বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।একসময় গ্রামবাংলার হাট-বাজারে গুঁড়া মসলা, গুড়, চিনি, লবণ, অন্য জিনিসপত্র এবং বিভিন্ন মেলায় বাতাসা, মোয়া, মুড়ি, মুড়কি, নাড়ু, লাড্ডু ইত্যাদি পদ্মপাতায় সুন্দরভাবে বেঁধে বিক্রি করা হতো। সহজলভ্য ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এর ব্যবহার ছিল অসাধারণ। এখনো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় প্রথাগত নিয়ম অনুযায়ী পদ্মপাতায় খাবার পরিবেশন করা হয়।

দৈনন্দিন নানা কাজে এর পাতা ও ফুল ব্যবহার করা হয়।জুলাই-অগাস্ট মাসে পদ্ম চাষ করা হয়। পদ্ম ফুল মূলত লাল, গোলাপী, হলুদ, সাদা এই রংগুলিতেই অধিক পরিমাণে বাজারে মেলে। গাছগুলি বীজ বা কন্দ থেকে জন্মাতে পারে। প্রথমে বীজগুলিকে ক্লোরিনমুক্ত উষ্ণ জলে রাখতে হবে। পদ্মের বীজ থেকে কন্দ না বের হওয়া পর্যন্ত নিয়ম করে জল পরিবর্তন করা উচিত। লক্ষ্য রাখতে হবে কন্দ যেন জলে ভাসমান অবস্থায় থাকে এবং যথেষ্ট সূর্যের আলো পায়। বীজ থেকে কন্দ বেড় হওয়ার সপ্তাহ কয়েক হওয়ার পরেই তা রোপণ করার জন্য তৈরী হয়ে যায়।

পাতা বড় হতে শুরু করলে উদ্ভিদ গভীর জলে রোপণের জন্য সাধারণত তৈরী হয়ে যায়।বাংলাদেশে সাধারণত বর্ষার শেষে এবং শরতের শুরুতে বিল-ঝিল, পুকুরে সন্ধ্যার ঠিক আগমুহূর্ত থেকে ফুটতে শুরু করে মনোমুগ্ধকর জলজ ফুলের রানি ‘পদ্ম’! সারারাত ধরেই একে একে পাল্লা দিয়ে সৌরভ ছড়িয়ে ফুটতে থাকে পদ্মফুল। তাই এক বিল বা পুকুর পদ্ম যেন গভীর সৌন্দর্যের আধার। তবে কালের পরিক্রমায় বাংলাদেশে পদ্ম বিল ও পুকুর অনেক কমে এসেছে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here