মোঃ ইমদাদুল হক রানা : রাতের অন্ধকারে বিধ্বংসী আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বন্ধ হয়েগেছে রুজি রোজগারের। সংসার চলবে কী করে সেই দুশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পড়েছেন বেকারী মালিক।মাত্র কয়েক ঘন্টা পূর্বে ছিলেন বেকারি মালিক ভয়ানক অগ্নিকান্ড তিনি এখন নিঃস্ব।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ৩ টার দিকে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের,রামদিয়া ব্রিজঘাট নামক এলাকায় মেহেদী বেকারিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।আগুনের পুড়ে যায় মেহেদী বেকারীর সম্পূর্ণ মালামাল। ঘটনার পর দ্রুত ফায়ার সার্ভিস এসে পৌছে প্রায় দের ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানাযায় কাজ শেষ করে রাত ১২ টায় তালা বন্ধ করে প্রতিদিনের মত কারখানার শ্রমিক ও প্রধান কারিগর কারখানা থেকে ১০ গজ দুরে ষ্টাপ রুমে ঘুমিয়ে পড়ে।রাত ৩ টার দিকে পোড়া গন্ধে, ধোঁয়ায় তাদের ঘুম ভেঙে যায় বাইরে বেরিয়ে দেখে ফ্যাক্টরীতে দাঔ দাঔ করে আগুন জলছে।ফায়ার সার্ভিসে কল করলে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস এসে পৌছায় দেরঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আশে।
বিস্কুট ফ্যাক্টরিটির প্রধান কারিগর শ্রী রমেন কুমার বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রচন্ড ধোঁয়া পোড়া গন্ধে ঘুম ভেঙে যায় বাইরে বেরিয়ে দেখি কারখানাটির উপর আগুন জ্বলছে। ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। ফায়ার সার্ভিসের কল করা হয়। দ্রুত ফায়ার সার্ভিস এসে অগ্নি নির্বাপন কাজে যোগ দেয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে।ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আসায় রক্ষা পায় আশেপাশের দোকান ঘর, আশেপাশে থাকা বাড়িগুলো। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে তিনি জানান।
মেহেদি বেকারির মালিক মোঃ মিলন মন্ডল আহাজারী করতে দেখা যায়। তিনি বলেন তার রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেল তিনি এখন কি করে সংসার চালাবেন তার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেল। সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। কি করে লোনের টাকা পরিশোধ করব। কিভাবে আগুন লাগল বুঝতে পারছি না।কারো প্রতি কো অভিযোগ নাই। তিনি আরো জানান তার ফ্যাক্টরির সমস্ত মালামাল তৈরি বিস্কুট, বিস্কুট তৈরির সরঞ্জামসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।তার প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’