এস এম রাহাত হোসেন ফারুক: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে দূর্নীতির অভিযোগ দিয়ে ৯জন ইউপি সদস্য নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ৯জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট দায়ের করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর পরিষদের সদস্যদেরকে বাদ রেখে অবৈধ ভাবে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। নির্বাচিত ৯জন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে দুর্ণীতির অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত ইউপি সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হবেন না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদেরকে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত ও সভায় যোগদানের জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। ফলে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এরআগে গত ২০ আগস্ট মহিলা ইউপি সদস্য সাফিয়া বেগম, মর্জিনা বেগম, ইউপি সদস্য পলাশ চন্দ্র কর, আবু সাঈদ, আমিনুর রহমান বাবু, কাবিল উদ্দীন, কামরুল ইসলাম, আকরাম হোসেন সাক্ষরিত অভিযোগ পত্রটি রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়ের করে। ওই অভিযোগে বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় নবাবপুর ইউনিয়নে ২৬লক্ষ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৫৭লক্ষ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেলেও যাহার ১৫% কাজ করা হয়নি। কাজে শ্রমিকদের তালিকা করা হলেও তাদের দিয়ে কাজ করা হয়নি। শ্রমিকদের নামে বিকাশ একাউন্ট করে সব সিম নিজের কাছে রেখে অর্থ উত্তলন করেন। কর্মসৃজন প্রকল্পে নন ওয়েজ নামে বরাদ্ধকৃত অর্থের কোন কাজ করা হয়নি। বেরুলী হাটের বিক্রয় লব্ধ অর্থ হতে ৪৬% অর্থ পেলেও তা পরিষদের কাউকে না জানিয়ে উত্তোলন করে আত্নসাৎ করেন। স্থায়ী সম্পদ বিক্রয়ে লব্ধ অর্থ হতে আনুমানিক ২০লক্ষ টাকা, ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স আদায়ের টাকা কোন কাজ করা হয়নি। কাবিখা, কাবিটা, টিআর (সাধারণ) ইউনিয়ন পরিষদে এমপির বরাদ্ধকৃত কাজ সঠিক ভাবে না করা, ২৮৮৬ জনের মধ্যে ১ হাজার জনের কার্ড নিজ আয়ত্বে নিয়ে কার্ডের চাউল গোডাউনে রেখে আত্নসাৎ করেন। ৩৪৫ টি ভিডাব্লিউপি কার্ড, রেশন কার্ড, মাতৃকালীন ভাতার কার্ডে অনিয়ম, সঠিক তথ্য না জানিয়ে রেজুলেশনে সাক্ষর করাসহ নিয়মিত মিটিং না করা, এডিপি/এলজি এসপি এর অর্থে কোথায় প্রকল্প নেওয়া হয় তা পরিষদকে না জানানো। এক কথায় পরিষদকে চেয়ারম্যান দূর্নীতির আখরা বানিয়ে ব্যবহার করে আসছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা উল্লেখ করে বলেন, আসলে একটি মহলের ইন্ধনে আমাকে হেয় করতে এ অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয় টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।