- রাজবাড়ী শহরের বড়পুলস্থ জলিল টাওয়ারের ৩য় তলায় ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স এর অফিসে পাওনা টাকা আনতে গিয়ে টাকা না পেয়ে ফিরে আসার সময় বৈদ্যতিক শক লেগে মা ও মেয়ে মারাত্নক আহত হয়ে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাঁসপাতালে ভর্তি হন ও পরে উন্নত চিকিৎস্যার ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
আহত মহিলার নাম নিহারুন (৩৫) ও মেয়ের নাম মোসলেমা(৫)। নিহারুন রজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ এলাকার আতিয়ারের স্ত্রী।
বুধবার(৮ই সেপ্টেম্বর)বেলা সোয়া ১২ টার সময় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সদর থানার এস আই ফেরদৌস(সেকেন্ড অফিসার)। তিনি জানান, বৈদ্যতিক শক লেগে মা ও মেয়ে দুজনই আহত হয়েছেন,মায়ের অবস্থা বেশী খারাপ।তার হাতের বোগলে অনেকটা পুড়ে গেছে।তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আহত নিহারুন এর ছেলে নিশাদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে সে জানায়, আমার মা ৪ বছর ধরে তার পাওনা টাকার জন্য ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কাছে গোরাঘুরি করছে। ১৮ হাজার টাকা আনতে প্রায় ভাড়াই গেছে অনেক টাকা। তাদের অফিস আগে অন্য যায়গায় ছিলো। এখন বড়পুলের এক নির্মাণাধীন ৩ তলা বিল্ডিং এ অফিস ভাড়া নিয়েছে। আমার মা বেলা ১২ তার দিকে সে অফিসে টাকা আনতে যায় । টাকা না পেয়ে ফিরে আসার সময় তিন তলা বিল্ডিং এর বারান্দার সামনে বৈদ্যতিক তার আর বারান্দার মধ্যে এক ইঞ্চিও ফাক নেই। হটাত করেই মায়ের হাতের সাথে তার লেগে যায় ।সে সময় আমার পাচ বছরের ছোট বোন এর ডান হাতের আঙ্গুলেও বিদ্যুতের তার লেগে পুড়ে যায়। আমার মা ও বোনকে নিয়ে প্রথমে সদর হাঁসপাতালে যাই ,সেখান থেকে আমাদের ঢাকায় যেতে বলে ,আমরা এখন ঢাকায় যাচ্ছি।
ঘটনার সময় ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স এর অফিসে ছিলেন স্টাফ জান্নাতুল ফেরদৌস ও জেলা ইনচার্জ মোঃশাহীন।
এ বিষয়ে শাহীন জানান, আমি এখানে এক মাস হলো নতুন যোগদান করেছি।অফিসের বারান্দার সামনেই বৈদ্যতিক তার ,এ নিয়ে আমরাও সংশয়ে রয়েছি। তবে তারের মধ্যে আমাদের অফিসের এরিয়া পর্যন্ত কাভার করা হয়েছে। কিন্তু মহিলাটি তার পাওনা টাকার জন্য এসেছে। পরে কিভাবে যে এ ঘটনা ঘটলো বুঝতে পারছিনা।তারা ঢাকায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গেছেন।সেখানে যে টাকা তার খরচ হয় অফিস থেকে আমরা তা প্রদান করবো।
জলিল টাওয়ারের মালিক আঃজলিল এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি আমার যায়গায় বিল্ডিং করেছি।বিল্ডিং করার সময় বিদ্যুৎ অফিস থেকে লোকজন আমার বিল্ডিং এর এড়িয়া পর্যন্ত তারের মধ্যে কাভার দিয়েগেছে। বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজের সময় কোন সমস্যা হয় নি । এখন কিভাবে যে ঘটনা টি ঘটলো আমার বোধগম্য হচ্ছেনা।
রাজবাড়ী বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী আমিনুর রহমান জানান, বিদ্যুতের লাইন সেখানে আগের থেকেই ছিলো। বিল্ডিং নির্মাণের সময় বৈদ্যতিক তার থেকে নিরাপদ স্থানে বিল্ডিং নির্মাণ করা দরকার ছিলো।তিনি আরো বলেন আমরা সামনে ৩৩ কেবি তার টানাবো তখন আরো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজবাড়ীতে অনেকেই দেখা গেছে একটু যায়গা ছাড়তে চায়না। বিদ্যুৎ বিভাগের তো আলাদাভাবে যায়গা নেই। তবে নিরাপদ স্থানে বিল্ডিং বা বাড়ীঘর নির্মাণ করলে ঝুকি থাকেনা।”