আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত মন্ত্রিসভার সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মানহানির অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। রায়ের পর প্রবীর সিকদার বলেন, ‘আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি আমি। ছয় বছর লড়াই করেছি। কখনো মাথা নত করিনি। আমি মনে করি এ রায়ের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতার জয় হয়েছে।’
বর্তমানে একটি দৈনিক বাংলা ৭১ এবং উত্তরাধিকার নামক অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক প্রবীর সিকদার ২০০১ সালে ঢাকার একটি দৈনিকের ফরিদপুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সময় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিলেন।
তবে ২০১৫ সালে ফেসবুকে লেখালেখির জের ধরে তখনকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সুনাম ক্ষুণ্ণের অভিযোগ করে প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন ফরিদপুরের এপিপি স্বপন পাল।
ওই লেখায় প্রবীর সিকদার নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তার কিছু হলে ওই মন্ত্রীসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে, তারা এর জন্য দায়ী হবেন বলে মন্তব্য করেন। তবে মোশাররফ হোসেন এ বিষয়ে বলেছিলেন, ‘এটি পাগলামি ছাড়া আর কিছু বলে মনে করি না।’
এরপর স্বপন পালের মামলার জের ধরে প্রবীর সিকদারকে আটক করে পুলিশ এবং এ মামলায় তাকে রিমান্ডও দেয়া হয়েছিল। তবে মামলাটি তথ্যপ্রযুক্তি আইনে হওয়ায় সাংবাদিকসহ পেশাজীবীদের তীব্র সমালোচনার প্রেক্ষাপটে রিমান্ড চলাকালেই জামিনে মুক্তি পান তিনি।
মামলা ও আদালতের নথিপত্রের তথ্য বলছে, প্রবীর শিকদারের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষে এই মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। পরে ২০১৬ সালে পুলিশ আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র দেয় ও ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলার অভিযোগ গঠন করেন। এরপর নানা ধাপ পেরিয়ে আজ এ মামলার রায় হলো যতে প্রবীর সিকদার খালাস পেলেন।
২০০১ সালে দৈনিক জনকণ্ঠের ফরিদপুর প্রতিনিধি থাকার সময় সন্ত্রাসীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন তিনি।
kkn