নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ওমরাহ পালন করতে গিয়ে সৌদিতে পালিয়েছেন হাসান শেখ(২৬)নামে এক বাংলাদেশী নাগরিক। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের বারবাকপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে।
জানাগেছে, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক নামে মুয়াল্লিম প্রতিবছর ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে রাজবাড়ী থেকে ২০-৩০ জন করে একসঙ্গে ওমরাহ পালন করতে যান। এ বছর ২১জনের একটি গ্রুপ নিয়ে ওমরা হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে ঢাকার গাউছিয়া হজ্ব গ্রুপ এজেন্সির মাধ্যমে ২২শে অক্টোবর সকালে সৌদির উদ্দেশ্যে বিমানে রওনা হন। সৌদিতে পৌছানোর চারদিন পর (২৬শে অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যান ।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মুয়াল্লিম মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক ১৪ নভেম্বর একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন । যার জিডি নং-৭৮৯
এ বিষয়ে কথা হলে মুয়াল্লিম মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমরা সৌদিতে প্রতি বছর ই ওমরা হজ্ব পালন করতে যাই। আল্লাহর রহমতে কোন সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। যে ছেলেটা পালিয়েছে ,সে আমার কাছে এসে বলেছিলো তার মা খুব অসুস্থ্য ছিলেন। মায়ের ইচ্ছা ছিলো তিনি সুস্থ্য হলে একটা ছেলেকে ওমরা হজ্ব করাবেন। এ বলে হাসান শেখ নামে লোকটি আমাকে খুব অনুরোধ করে হজ্বে নিয়ে যাবার জন্য। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাবার চারদিন পর সে নিখোজ হয়ে যায়। সৌদির মক্কা ও জেদ্দার মাঝামাঝি হাসান শেখ এর আপন ভাই মোতালেব নামে একজন থাকে, সেখান থেকে মোতালেবের নাম্বার দিয়ে আমাকে ফোন করে বলেছিলো হুজুর আমি রাতে ভাইয়ের সাথে এখানে থাকবো। পরদিন চলে আসবো । পরের দিন তাকে না দেখে আমি তার ভাই মোতালেবকে ফোন করি ,সে জানায় হাসান আপনাদের কাছে যাবার কথা বলে সেখানে চলে গেছে। কিন্তু আর ফেরেনাই।
এ ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে বলে জানান মুয়াল্লিম মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক ।
তিনি আরও বলেন হাসান শেখ ইচ্ছাকৃত ভাবে স্বেচ্ছায় পালিয়েছে। তার আরো একটি ভাই তাইজুল সৌদির রিয়াদে থাকে। হাসান শেখ সেখানে কোন কাজ করার উদ্দেশ্যেই আমাকে ফাকি দিয়ে ওমরা হজ্বের নামে সৌদি গিয়েছে আমি বুঝতে পারিনি।
মুয়াল্লিম মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক আরোও বলেন, পলাতক হাসান শেখ সৌদিতেই তার কোন এক ভাইয়ের সাথেই রয়েছে। পরিবারের সাথেও তার যোগাযোগ রয়েছে। আমি হাসান শেখের গ্রামের বাড়ী রাজবাড়ী বারবাকপুরেও গিয়েছি। তার বাবার সাথে হাসান শেখ যোগাযোগ রাখে কিন্তু আমার কাছে বলছে ছেলে আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনাই। এ নিয়ে এজেন্সি আমাকে খুব চাপ দিচ্ছে । ভালোকাজের কথা বলে ছেলেটা এমন কাজ করবে ধারণাও করতে পারিনাই।