নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ীঃ কোরবানী করার পর মাংস বানাতে খাইট্টা খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস।যারা কসাই দিয়ে মাংস বানান না মুলত তারাই দা চাকুর পর কাঠের খাইট্টা কিনে থাকেন।
পরিবারের সদস্যরা মিলে কিংবা এলাকার মানুষ মিলে মাংস বানাতে কাঠের খাইট্টা সংগ্রহ করে থাকেন।আর এই কাঠের খাইট্টা বিক্রি করতে মুলত মৌসুমী ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করেন। মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা মানেই পশু কোরবানি। আর, এই কোরবানির পশু জবাইয়ের পর মাংস প্রক্রিয়াকরণের কয়েকটি খুবই প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাংস কেটে টুকরো করার কাজে ব্যবহৃত কাঠের পাটাতন ‘খাইট্টা’। সারা বছর কসাইখানায় এর ব্যবহার বেশ সাধারণ হলেও, এর বিপুল চাহিদা এসে ধরা দেয় ঈদুল আজহার সময়। এ সময় সারাদেশের আনাচে-কানাচে এই ‘খাইট্টা’র কদর লক্ষ্য করার মতো বেড়ে যায়।কোরবানির মৌসুমে গ্রাম থেকে শহরের বাড়ি পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ঘটে। ঈদের দিন জবাই করা বিপুল পশু প্রক্রিয়া করতে প্রচুর পরিমাণ কাঠের গুড়ি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
একটি গরু প্রক্রিয়া করতে প্রায় দুই থেকে তিনটি গুঁড়ির প্রয়োজন হয়ে থাকে। একটি ছাগলের জন্য অবশ্য একটি ‘খাইট্টা’ যথেষ্ট। সাধারণত এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তেতুল গাছের গুঁড়ি করাতে ফেলে ছোট ছোট গোলাকৃতির টুকরো তৈরি করে এটি বানায় এলাকাভেদে এর বিভিন্ন নাম আছে। কোথাও এটাকে বলে খাইট্টা, কোথাও আবার বলে খটিয়া, কাইটে, গুঁড়ি, শপার, হাইজ্যা ইত্যাদি।সরোজমিনে দেখা যায় রাজবাড়ী ভাজন চালা এলাকায় তেতুল কাঠের গুড়ি কেটে খাইট্টা বানাতে। ব্যবসায়ি রফিক জানান দাম প্রকার ভেদে এক হাজার টাকা থেকে একশত টাকা হয়ে থাকে।