মোজাম্মেলহক, গোয়ালন্দ ( রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা: ঘূর্ণি ঝড় অশনির প্রভাবে টানা দুই দিন ঘন বৃষ্টির কারনে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া নিচু এলাকাতে বৃষ্টির পানিতে ধান ডুবে পচন ধরায় কৃষক তড়িঘড়ি করে আধা পাকা ধান জমি থেকে কেটে বাড়ীতে আনছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় অশনির আতংকে শ্রমিক সংকটের কারনে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের কৃষকেরা। নিচু ধানের জমি গুলোতে বৃষ্টির পানি জমে ধান পচন ধরায় আধা পাকা ধান কেটে বাড়ীতে আনছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। বাতাসে ধান ক্ষেত গুলোকে লণ্ডভণ্ড করে ফেলছে তার পর আবার ঘন বৃষ্টিতে ধান ক্ষেতে পানি জমে থাকায় আধা পাকা ধান ক্ষেতে পচন ধরায় কৃষক তড়িঘড়ি করে ধান কেটে বাড়ীতে আছে।
কয়েক জন কৃষক জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকপে ঘন বৃষ্টি তার পরও নদীতে প্রচুর জোয়ার থাকার কারনে আমাদের নিচু ধান ক্ষেত গুলোতে নদীর পানি প্রবেশ করায় ধান তলিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ঘন বৃষ্টির কারনে ইরি প্রজেক্ট গুলোতে পানি জমে ধানে পচন দেখা দিয়াছে সেই জন্য আমরা আধা পাকা ধান কেটে বাড়ীতে আনছি।পানিতে ডুবে বা পচে গেলে সারা বছর ধান চাল কিনে খেতে হবে তাতে অনেক কষ্ট হবে।সে জন্য আধা পাকা ধান কেটে আনছি বাড়ীতে। মাড়াই করার পর যে কয়েক মণ হয় তাতেই সারা বছরের খাবার ঘরে আসবে চিন্তা থাকবে না।
কৃষক আমির হোসেন বলেন, আমার ১০ বিঘা জমিতে ইরি ২৮ ধান ও২৯ লাগানো হয়েছে এবং ধান পাকতে শুরু করেছে ধানে জমি নিচু হওয়ায় সেখানে বৃষ্টির পানি জমে ধানে পচন দেখা দেওয়া ধান কেটে ফেলতে হচ্ছে।তার পর আবার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে কারন সব জমির মালিকেরা এক সাথেই ধান কাটতে শুরু করছে।
কৃষক বিল্লাল বলেন, আমার ৭ বিঘা জমিতে যে টাকা খরচ করে ধান আবাদ করেছি। সে টাকার অর্ধেক ধানও পাবো না কারন পাকা ধান বাতাসে বাড়িয়া ফেলে দিয়েছে তারপরও আবার ধানে ক্ষেতে হাটু পানি জমে আছে এবং দেখা দিয়েছে পচন। শ্রমিক দিয়ে আমি ধান কাটাছি তাদের টাকা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আমার।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি অফিসার মো. ইমরান হোসেন বলেন,দৌলতদিয়া ইউনিয়নে মোট ৭শত ২০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে।১০ হেক্টর জমিতে ধানে পচন দেখা দিয়েছে। ১০০ বিঘা জমিতে ধান ডুবে আক্রান্ত হয়েছে।