Wednesday, November 20, 2024

গোয়ালন্দে ড্রেজার দিয়ে অবাধ বালু উত্তোলন,ভাঙ্গন  হুমকীতে এলাকাবাসী 

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে শ্যালো ইঞ্জিনের ড্রেজিং মেশিন দিয়ে মাটি তুলে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে আবজালসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে করে নদীর তলদেশে গভীর গর্ত হয়ে নদীর দু পাশের পাড়সহ রাস্তা এবং বসত বাড়ী নদী ভাঙ্গন ঝুঁকিতে পড়ছে বলে এলাকা বাসীর অভিযোগ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের গা ঘেষে নুরু মন্ডল পাড়া ও ইদ্রিস পাড়ার দুই গ্রামের মাঝ খান দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মার শাখা নদী সেই নদী থেকে প্রায় দু মাস ধরে শ্যালো মেশিনে ডেজিং দিয়ে দিন রাত একই ভাবে মাটি তুলে বিক্রি করে আসছে স্থানীয় মাটি ব্যাবসায়ী আবজাল ও লোকমান মন্ডল। মরা পদ্মা নদীর যে স্থানে ডেজিং মেশিনটি বসানো হয়ে সেই জায়াগা থেকে মাত্র ২’শ গজ দুরে ইদ্রিস পাড়া ও নুরু মন্ডলসহ যাতায়াতের রাস্তা রয়েছে এবং ঢাকা খুলনা মহাসড়ক হতে নদীর পাড় দিয়ে আরেকটি রাস্ত রয়েছে বেপারী ও মুন্সী পাড়া দেবগ্রামের কয়েক হাজার লোকজনের যাতায়াতের রাস্তাটি রয়েছে নদী ভাঙ্গন ঝঁকিতে। দৌলতদিয়া ও দেবগ্রামের ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে দুই থেকে তিন শতাধিক পরিবার রাস্তার পাশ ঘেষে বসত বাড়ীঘর গড়ে তুলছে। নদীর তলদেশে গভীর গর্ত করায় কয়েকটি গ্রাম ও রাস্তার পাশ থেকে মাটি ধসে পড়ছে।এতে করে কয়েক হাজার মানুষ নদী ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছ। মাটি ব্যাবসায়ী লোকমান মন্ডল বলেন,আমার ডেজিং চালানোর জন্য অনুমোদন আছে। অনুমোদন ছাড়া কি আমি ডেজিং চালাতে পারি। দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.রহমান মন্ডল বলেন,নদী ভাঙ্গন পরিবারদের বাড়ীর ভিটা ভরাট করার জন্য আবজালের ডেজিং কয়েক দিনের জন্য চালানো কথা ছিলো সেটা আমি জানি কিন্তু লোকমানের ডেজিং চলছে সেটা আমার জান নেই।

গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কোন ডেজিং চালানোর জন্য আমি অনুমোদন দেয়নি। তাদেরকে বার বার নিষেধ করার পরও তারা মানছে না তার পরও চালাচ্ছে। আমি খুব তাড়াতাড়ি তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নিব।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here