মোজাম্মেলহক , গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী): দৌলতদিয়ার ৭ নং ফেরিঘাট এলাকায় ফেরির ধাক্কা ও প্রপেলারের (পাখা) ঘূর্ণনে নদীর পাড় ধ্বসে যাচ্ছে। এতে করে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ওই ফেরিঘাটসহ সংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার। তারা দ্রুত এ বিষয়ে প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৭ নং ফেরি ঘাটে ফেরি ঘুড়ানোর সময় ফেরির পাখায় চরম গতিতে স্রোত সৃষ্টি হয়। সেই স্রোতে নদীর পাড়ের জিও ব্যাগগুলো ধসে পড়ছে। তাতে নদীর পাড়ের বসবাসরত পরিবাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এ সময় ঘাটের দুই পাশে অনেকটা এলাকা জুড়ে ভাঙ্গন দেখা যায়। ভাঙ্গনে গত বছর ফেলা জিও ব্যাগগুলো ধ্বসে যাচ্ছে।
এ সময় আলাপকালে নদী পাড়ের বাসিন্দা মেজেক আলী শেখ (৫৫),হাচেন মন্ডল (৫০),আতর আলী (৪৫),সাহেদা বেগম (৫৮),হাসনা খাতুন (২০)সহ অনেকেই বলেন,পদ্মা নদীতে গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ৭ নং ঘাটের আপ ও ডাউন পকেটে ভেড়া ফেরিগুলোর চলাচলের সময় প্রতিনিয়ত নদীর তীরে ধাক্কা লাগছে। সেইসাথে ফেরির পাখার ঘূর্ণনে সৃষ্ট তীব্র স্রোত সজোরে তীরে আঘাত হানছে।এতে নদীর তীর ঘেঁষে ফেলা বালু ভর্তি জিও ব্যাগগুলো ছিড়ে-ফেটে ধ্বসে যাচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আর কয়েকদিনের মধ্যে নদীর পাড় পুরোপুরি ভেঙে গিয়ে আমাদের বাড়িঘর গুলোও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা দ্রুত এর প্রতিকার চাই।
এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন বলেন, এখন পানি কম রয়েছে। চোখে দেখে দেখে বস্তা ফেললে অল্প খরচেই তীর রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু তা না করে যখন অনেক পানি বাড়ে, বাড়িঘর ভেঙে যেতে শুরু করে তখন বস্তা ফেলতে আসে ।গত কয়েক বছর এ সবই চলছে।আসলে এ সবের মাধ্যমে বস্তা ফেলানোয় ব্যাপক জালিয়াতি করা যায়।যেটা এখন বা শুকনো সময় করলে করা যায় না।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘাট পরিস্হিতি দেখতে আমি দৌলতদিয়া গিয়েছিলাম। ৭ নং ঘাট এলাকাসহ যেখানে জরুরি ভিত্তিতে বস্তা ফেলানো অথবা অন্যান্য কাজ করা দরকার সেগুলো করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া ফেরি চালকদেরকে ফেরির পাখা ধীরে ঘোরাতে অনুরোধ জানানো হবে। এ সময় তিনি দাবী করেন, গত এপ্রিল মাস হতেই তিনি লঞ্চঘাট হতে ৭ নং ফেরিঘাট এলাকা পর্যন্ত দেখে দেখে বালুর বস্তা ফেলছেন।