ঈদুল আযাহা কে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশ দ্বার খ্যাত গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া ঘাটে পশুবাহী ট্রাক ওগণপরিবহনের দীর্ঘ সারি। নদী পারের অপেক্ষায় শত শত যানবাহন। সরে জমিনে দেখা যায়, শুক্রবার(১৬ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে উপর রোদের মধ্য দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে শত শত পশুবাহী ট্রাক ও গণপরিবহন। দীর্ঘ দিন পর স্বরুপে ফিরেছে দৌলতদিয়া ঘাট। বিগত কয়েক মাস নদী পারের জন্য কোন যানবাহনকে মহাসড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা সিরিয়ালে অপেক্ষা করতে হয়নি। বেলা১১টা নাগাত দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দুরে বাংলাদেশ হ্যাচারীজ পর্যন্ত দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। সময় বড়ার সাথে সাথে বাড়ছে সিরিয়ালের দৈর্ঘ্য। যানবাহনে আটকে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি প্রচন্ড গরমে ঈদু আযাহা উপলক্ষে ঢাকাসহ তার আশপাশের জেলার ট্রাকে করে বিক্রি র জন্য নিয়ে যাওয়া গরুুগুলো কে নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গুরু ব্যবসায়ী। রোদ ও গরমে বেশির ভাগ গরুু গুলো অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। এ রকম পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এক মাত্র ভরসা হাত পাখা। প্রতি পশুবাহী ট্রাকে রয়েছে ৮/১০ করে রাখাল সব সময় গরুুগুলো কে বাতাস করে যাচ্ছে অবিরাম। মাগুরার গরুু ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, গরুু ট্রাকটি নিয়ে আমরা প্রায় দুই ঘন্টা হলো দৌলতদিয়া ঘাটে এসে লম্বা সিরিয়ালে আটকা পড়েছি কখন ফেরি দেখা পাব এখনো বলতে পারছি না। গরুুর গায়ে পানি দিচ্ছি আর বাতাস করছি। পরিবহন চালক কাশেম বলেন, দীর্ঘদিন পর পরিবহন চালাচ্ছি। আজ দৌলতদিয়া ঘাটে গাড়ি নিয়ে এসেছি প্রায় তিন ঘন্টার মত ঘাটে এসে দীর্ঘ সিরিয়ালের পড়ে আছি। এখনো ফেরির দেখা মিলছেনা গরমে যাত্রীরা এদিকে ওদিকে ছুটাছুটি করছে। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সিহাব উদ্দিন বলেন, এ নৌরুটে বড় রো রো ফেরি চলছে ৮ টি , ইউটিলিটি ছোট ফেরি চলছে ৭ টি। ছোট বড় সব মিলে মোট ১৫ টি ফেরি চলাচল করছে। তবে পশুবাহী ট্রাক গুলো অগ্রঅধিকার বৃত্তিতে পারাপার করছে।
Previous article
Next article