ঈদুল আযাহা কে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও গরু ব্যবসায়ীরা চরম ভৌগান্তিসহ পশুবাহী ট্রাক ও গণপরিবহনের দীর্ঘ সারি। নদী পারের অপেক্ষায় শত শত যানবাহন।
সরে জমিনে দেখা যায়, শনিবার(১৭ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে উপর ঘন্টার পর ঘন্টা রোদের মধ্য দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে আছে শত শত পশুবাহী ট্রাক ও গণপরিবহন। দীর্ঘ দিন পর স্বরুপে ফিরেছে দৌলতদিয়া ঘাট। বিগত কয়েক মাস নদী পারের জন্য কোন যানবাহনকে মহাসড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা সিরিয়ালে অপেক্ষা করতে হয়নি। বেলা১০ টা নাগাত দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দুরে বাংলাদেশ হ্যাচারীজ পর্যন্ত দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। সময় বড়ার সাথে সাথে বাড়ছে সিরিয়ালের দৈর্ঘ্য। যানবাহনে আটকে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি প্রচন্ড গরমে ঈদু আযাহা উপলক্ষে ঢাকাসহ তার আশপাশের জেলার ট্রাকে করে বিক্রি র জন্য নিয়ে যাওয়া গরুুগুলো কে নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গুরু ব্যবসায়ী। রোদ ও গরমে বেশির ভাগ গরুু গুলো অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। এ রকম পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এক মাত্র ভরসা হাত পাখা। প্রতি পশুবাহী ট্রাকে রয়েছে ৫ থেকে ৮ জন করে রাখাল রয়েছে তারা সময় মত গরুকে খাওয়ার স্যালাইন সহ গরুুগুলো কে বাতাস করে যাচ্ছে অবিরাম। মহাসড়ক ও ফেরি ঘাটে রয়েছে ভয়াবাহ যানজট ও ভৌগান্তি।
পশুবাহী ট্রাক চালক জামিলউদ্দিন বলেন, আমি বরগনা থেকে গরুু ট্রাকটি নিয়ে রাত দুইটার সময় দৌলতদিয়া ঘাটে এসে লম্বা সিরিয়ালে আটকা পড়েছি এখন বেলা ১২ টা বাজে কখন ফেরি দেখা পাব এখনো বলতে পারছি না। এই গরমে রোদের মধ্যে গরুুকে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়ানো হচ্ছে আর হাত পাখা দিয়ে বাতাস করা হচ্ছে। এই ভাবে কষ্ট করেই ঢাকা যেতে হবে কিছুই করার নেই।
মাগুরার গরুর ব্যবসায়ী নবুয়াত বিশ্বাস বলেন, আমি আটটি গরু ট্রাকে করে নিয়ে এসে রাত দুটার সময় উপজলা পরিষদের সামনে দীর্ঘ সিরিয়ালের আটকে আছি একটু একটু করে আসতে আসতে দৌলতদিয়ার ঘাটে এসে বেলা ১টার সময় দীর্ঘ সিরিয়ালের পড়ে আছি। কখন ফেরির দেখা মিলবে বলতে পারছি না।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সিহাব উদ্দিন বলেন, এ নৌরুটে বড় রো রো ফেরি চলছে ৯টি , ইউটিলিটি ছোট ফেরি চলছে ৯ টি। ছোট বড় সব মিলে মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। তবে পশুবাহী ট্রাক গুলো অগ্রঅধিকার বৃত্তিতে পারাপার করছে।