ঈদুল আযাহা কে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশ দ্বার খ্যাত গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ঢাকা ফেতর যাত্রীদের উপচে পড়া ভির। সরকার ঘোষিত লকডাউন শিথিল হওয়ায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে।
সরে জমিনে দেখা যায়, বৃহপ্রতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে দিকে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরীতে রয়েছে গনপরিবহন ও ব্যাক্তি গতগাড়ি জরুরী সেবার এ্যাম্বলেস্ব ও পন্যবাহী ট্রাক এবং যাত্রী। তবে লঞ্চ ও ফেরিতে আসা যাত্রীরা স্বাস্থ্য বিধি বা সামাজিক দুরত্ব মানছেন না কেউ। গাদাগাদি করে একজনের ঘা ঘেষে আরেক জন দাঁড়িয়ে আছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়েই দৌলতদিয়া পটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভির বাড়ছে। এদিকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে গনপরিবহন ও পশুবাহী ট্রাকের দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার জুরে জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা ফেরত যাত্রী হাসেম হাওলাদার বলেন, আমি ঢাকায় রং মিস্ত্রীর কাজ করতাম।সরকার লকডাউন শিথিল করায় আজ আমি ঢাকায় থেকে রওয়ানা করেছি। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই কুরবানি ঈদ সে কারনে অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া দিয়েই আগে ভাগেই দেশের বাড়ী মাগুরায় চলে যাচ্ছি।
ঢাকা ফেরত আরে যাত্রী ছালমা আক্তার বলেন, আমি একটি বেসরকারী ফার্মে কাজ করতাম। লকডাউন চলাকালিন সময় আমার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকেই এত দিন ঢাকার বাসায় ছিলাম।লকডাউন শিথিল করায় আজ দেশের বাড়ী কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়েছি। কারন আর মাত্র কয়েক দিন পরেই ঈদুল আযাহা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. সিহাব উদ্দিন বলেন, এ নৌরুটে বড় রো রো ফেরি চলছে ৮ টি , ইউটিলিটি ছোট ফেরি চলছে ৭ টি। ছোট বড় সব মিলে মোট ১৫ টি ফেরি চলাচল করছে। তবে পশুবাহী ট্রাক গুলো অগ্রঅধিকার বৃত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে ।