আগামীকাল ১লা আগষ্ট (রোববার) থেকে রফতানিমুখী সব শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার খবরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে কঠোর লকডাউনের নবম দিনে দেশের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া প্রান্তে দেখা গেছে কর্মমুখী হাজারো মানুষের ঢল।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে ঢাকার মুখী হাজার হাজার যাত্রী অতিরিক্ত গাড়ী ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আসছে। ঘাটে এসে আবার ২৫ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা দিয়ে যাত্রীরা গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠে নদী পার হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি বা সামাজিক দুরুত্ব কোন বালাই নেই । তবে থ্রি হুইলার, ইজিবাইক, ভাড়া মোটরসাইকেল , ট্রাক ছাড়া কোন গনপরিবহন না চলার কারনে ঘাটে আসতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
প্রতিটি ফেরিতে জরুরী সেবার অ্যাম্বুলেন্স, পন্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়িপার হতে দেখা যায়। সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারনে লঞ্চ সহ নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় জরুরীভাবে পারাপারের জন্য চালু থাকা ফেরিগুলোতে তিন ধারনের ঠাঁই নেই।
খুলনা থেকে আসা যাত্রী বিল্লাল হোসেন বলেন, লকডাউনের কারনে অনেক দিন যাবৎ বেকার হয়ে বাড়ীতে বসে ছিলাম। হঠাৎ সরকার ঘোষনা করেছে আগামীকাল থেকে সব গার্মেন্ট খুলা থাকবে। সে কারনে আমি ভোর রাতে বাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে করোনার ঝুঁকি নিয়েই ঢাকায় যাচ্ছি।
কুষ্টিয়া থেকে আসা যাত্রী আকলিমা বলেন, আমি আশুলিয়া একটি পোশাক কারখানায় চাকরী করি। ঈদের আগে বাড়ী তে আসছিলাম। লকডাউনের কারনে পোশাক কারখানা বন্ধ ছিলো সে জন্য ঢাকা যাচ্ছিলাম না এরি মধ্যে সরকার ঘোষনা করেছে আগামীকাল সবধরনের শিল্পকারখানা খুলা থাকেব সেজন্য আজকেই ঢাকায় যাচ্ছি। আগামীকাল কাজে যোগ দেব।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো.সিহাব উদ্দীন বলেন, এই নৌরুটে বড় রো রো ফেরি ৪ টা ও ছোট ফেরি ৫ টি ছোট বড় মিলে মোট ৯ টি ফেরি চলাচল করছে। যখন যে ঘাটে যাত্রী ওযানবাহন জমে যাচ্ছে তখন সে ঘাট থেকেই ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে।