রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ঋতু বেগম (৩০) নামের এক যৌনকর্মীর গলাকাটা মরদেহ উদ্বার করেছে পুলিশ।
সে যৌনপল্লীর একটি বাড়ির মালিক।তার কথিত স্বামীর নাম সুজন খন্দকার। তার সাবেক স্বামীর ওরসে নবম শ্রেনী পড়ুয়া একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সে পল্লীর বাইরে তার নানীর সাথে ভাড়া বাড়িতে থাকে।খবর পেয়ে সকালে মায়ের লাশের পাশে এসে সে কান্নাকাটি করতে থাকে।তবে মায়ের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সে কিছু জানেনা বলে সাংবাদিকদের জানায়।
শুক্রবার দিনগত শনিবার রাত ২ টার পর হতে সকাল ৮ টার মধ্যে যে কোন সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্হানীয়দের ধারনা। শনিবার সকালে ঘরের মেঝেতে ঋতুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্হানীয়রা পুলিশ কে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাজবাড়ীর সহকারী পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) মোঃ সালাউদ্দিন ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্হলে পৌঁছান।
পল্লীর একাধিক সূত্র জানায়, রাত ২ টা পর্যন্ত ঋতু তার বাড়ির দুই ভাড়াটিয়ার সাথে একসঙ্গে বসে মাথায় তেল নেয়। এর মধ্যে সুজন দুইবার ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করে।রাত ৩ টার দিকে ঋতু এক খদ্দেরকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর হতে আর কিছু জানা যায় নি।সকালে তার রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ এ ঘটনায় ঋতুর কথিত স্বামী সুজন খন্দকার এবং তার দুই ভাড়াটিয়া যৌনকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্হল ঘেরাও করে রেখেছে। পিবিআই ও সিআইডির পৃথক দুটি দল ঘটনাস্হলে পৌছে তাদের কাজ শুরু করেছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, হত্যাকান্ডের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। পিবিআই ও সিআইডির আলামত সংগ্রহ ও প্রাথমিক তদন্তের পর আমরা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠাবো।এ ঘটনায় হত্যাকান্ডের শিকার রিতুর কথিত স্বামী সুজন খন্দকারসহ আরো কয়েকজনের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে যৌনকর্মীকে গলা কেটে হত্যা
