Monday, April 29, 2024

পরিক্ষা নেই, ফি আদায়ের অভিযোগ

উজ্জল হোসেন, পাংশা (রাজবাড়ী) : ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য কোনো প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নতুন পাঠ্যক্রমের অধীনে শিক্ষাদান করা হবে বলেও জানিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।

পরিক্ষা না থাকা স্বত্তেও এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিক্ষার ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পরিক্ষার ফি আদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে শ্রেনি ভেদে ১ হাজার থেথে ১ হাজার ৫৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ সকল অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর।

এমন অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বীর বিক্রম শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।

গত সোমবার (১১জুন) সরেজমিনে গেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির পরিক্ষা না থাকা স্বত্তেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত পরিক্ষার ফি আদায় করা হয়েছে। পরিক্ষার ফি আদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ফি বাবদ ১০০০-১৫৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন খাতের মধ্যে রয়েছে বেতন, বিদ্যুৎ বিল, সেশন ফি, পাঠাগাড় ফি, কল্যাণ ট্রাস্ট, কম্পিউটার সহ বিভিন্ন ফি নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, এ বছর কোন খেলাধুলা হয়নি, তবুও খেলাধুলা বাবদ ১৫০ টাকা দেওয়া হয়েছে।

এ সকল অভিয়োগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফি বাবদ ফি আদায় করা হয়েছে এবং চলমান রয়েছে। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির পরিক্ষা নেই। তাদের কাছ থেকে পরিক্ষার ফি আদায় করা ঠিক হয়নি। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির যে সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিক্ষার ফি আদায় করা হয়েছে তাদের টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে। এ বছর খেলা না হলেও ২০২৪ সালের খেলাধুলার জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য যে সকল ফি আদায় করা হয়েছে তা আমাদের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আদায় করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নেহাল উদ্দিন জানান, আমি ঢাকাতে আছি। বিষয়টি আমি সুনেছি এবং প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে কোন কিছু হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের একাডেমিক সুপার ভাইজান ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তিপ্তী রাণী মন্ডল জানান, শিক্ষা দপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির পরিক্ষা নেই। তাদের মূল্যায়ন করা হবে। তাদের কাছ থেকে পরিক্ষার ফি আদায়ের বিষয়টি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here