নেহাল আহমেদ,রাজবাড়ী: অন্যান্য ব্যবসার মতো পাখি ব্যবসাও খুব জমজমাট ক্রমশ হয়ে উঠেছে রাজবাড়ী। বিচিত্র রকম মানুষের শখ। নানান ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে মানুষ সুখ পেতে চায়।এই সুখের জন্য বর্বরতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায় কখনো কখনো।জ্যান্ত মানুষ কে আঘাত করে উল্লাস করা, শক্তিশালী দুই পশুকে প্রতিযোগিতায় নামানো কিংবা নিপরাধ প্রানীকে খাচাঁয় পুষে আনন্দ পাওয়া। শুধু মাত্র চোখের দেখার জন্য অনেকেই যে সব পাখি পোষযোগ্য নয় যাদের বনে থাকার কথা তাদের ধরে খাচাঁয় বন্ধি করে রাখা হয়।আর এই শখকে পুজিঁ করে গড়ে উঠেছে পাখির ব্যবসা।পাখি সাধারণত দুই রকমের হয়। বনের পাখি ও খাঁচার পাখি।
পাখি পোষার ইতিহাস বহু প্রাচীন। মিশরের ফারাও থেকে শুরু করে রাজা, মহারাজারাও বিভিন্ন ধরনের পাখি পুষতেন। কখনো শখে আবার কখনো চিঠি আদান-প্রদানের জন্য। দিন দিন বেড়ে চলেছে শখের বশে পাখি পোষা, শখের বশে এখন অনেকেই বাসায় পুষছেন বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এমনই নানা প্রজাতির পাখি বিক্রি করে ব্যবসা করছেন রাজবাড়ীর অনেকেই।গড়ে উঠেছি বেশ কিছু দোকান।। প্রতিদিনই বিক্রি হয় নানা প্রজাতির পাখি, তার দোকানে আছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি তার ভিতরে উল্লেখযোগ্য বাজরিগার, ককাটেল, জাভা, ফিঞ্চ ও লাভ বার্ড। নজরুল ইসলাম এক পাখি ব্যবসায়ী জানান, পাখি অনেকেই শখ করে পালন করেন বিভিন্ন প্রজাতি এবং বিভিন্ন নামের পাখি আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাজরিগার পাখি- অনেকে শখের বসে বাড়িতে পোষার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে কিনে থাকে। এই পাখিটি বেশ দামি। এই পাখিটি সহজেই ডিম দিতে সক্ষম। এরপর বাচ্চাও দেয় বেশ তাড়াতাড়ি। তবে ডিম পাড়া বা বাচ্চা হওয়াটা অনেকটাই পাখির যত্নের ওপর নির্ভর করে। অধিক রঙে রঙিন, সহজ খাদ্যে সন্তুষ্ট এ পাখিগুলো সহজে লালন-পালন করা যায়।
ককটেল ও গে ককটেল – লালন-পালনে সহজ এমন পাখির মধ্যে আরো রয়েছে ককটেল ও লোটিনো বা গ্রে ককটেল পাখি। এগুলোও সহজে ডিম দেয়। এই পাখিগুলোও পোষার জন্য পরিমাপ মত খাঁচার দরকার হয়। এসব পাখি সাড়ে তিন মাস থেকে চারমাসের মধ্যে ডিম দেয়। তবে যত্ন আবশ্যক। ফিঞ্চ পাখি ও লাভবার্ড পাখি- শখের পোষাপাখিগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে ফিঞ্চ পাখি ও লাভবার্ড পাখি। পাখিগুলো মূলত শস্যভোজী। তাই এগুলো বিভিন্ন শস্য খেয়ে থাকে। এগুলো দেখতে অনেকটা শালিক পাখির মতো। শরীর ছিপছিপে গড়নের হওয়ায় একটু ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছা হয়। এগুলোর দাম তাই অনেক ক্ষেত্রে রঙের ওপর নির্ভর করে।
আর যেহেতু এরা শস্যদানা খেয়ে থাকে, তাই খাবারের খরচটাও অনেক কম। এ পাখিগুলো হোয়াইট ফিডও খেয়ে থাকে। এ ছাড়া নানান জাতের কবুতর টিয়া ময়না পাখিও রয়েছে যে গুলোর কদর সব সময়। এসব পাখিগুলো খাচায় ডিম পেড়ো বাচ্চা ফোটায়। বাজরিগার পাখি গুলো বিক্রি হয় প্রতি জোড়া ৫০০-৮০০ টাকা, ফিঞ্চ পাখি বিক্রি হয় প্রতিজোড়া ৮০০-১০০০ টাকা, ককাটেল জাভা লাভ বার্ড প্রতিজোড়া ২-৩ হাজার টাকা দরে।পাখি দেখতে এসে জয়নাল নামে একজন জানান জীবনের প্রয়োজনে আমাদের অনেক কিছুই করতে হয় কিন্ত পাখিকে খাচাঁয় বন্ধি করা কি প্রয়োজন।এই ব্যবসা অমানবিক পাখিকে বনেই মানায় তাকে খাচাঁয় বন্ধি করে শুধু মাত্র চোখের সুখ খোজাঁ অমানবিক।পাখিকে উড়তে দেখতেই ভালো লাগে। তাদের গান শুনতে ভালো লাগে।