Sunday, December 22, 2024

বনলতা সেন

বনলতা সেন

জীবনানন্দ তার জীবনে কমপক্ষে আড়াই হাজার কবিতা রচনা করেছিলেন। তার কন্যা মঞ্জুশ্রী’র কাছ থেকে অনেক কবিতার পাণ্ডুলিপি হারিয়ে যাওয়ায় নিশ্চিত হওয়া কঠিন জীবনানন্দ কতগুলো কবিতা লিখেছিলেন।
জীবনান্দের চেয়ে তার যে কবিতা ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে সেটা হল বনলতা সেন।জীবনানন্দ দাশ-এর লেখা সুবিখ্যাত কবিতা ‘বনলতা সেন’ সম্ভবত কবির চেয়েও জনপ্রিয়। এ কবিতাটি নিয়ে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের কোনো শেষ নেই।

হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার-অশােকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরাে দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে।
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
বনলতা সেন কবিতাটি জীবনানন্দের হৃদয় কে বিশ্ব হৃদয় বলা যেতে পারে, অন্তত এই কবিতাটি পড়ার পর এ নিয়ে তাই মনে হয়।কবিতায় যে সব জায়গা খুজেঁ পাওয়া যায় তা নিয়ে যৎ সামান্য আলোচনা করলাম।

শ্রাবস্তী।
শ্রাবস্তী হচ্ছে কোশল রাজ্যের এক সমৃদ্ধশালী নগরী। প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের শুরু খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে। এর আগেও যে প্রাচীন ভারতে রাজনৈতিক ইতিহাস ছিল না তা নয়, তবে সেই ইতিবৃত্তটি আজও তেমন স্পষ্ট নয়। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের দিকে প্রাচীন ভারতে ষোলোটি স্থানীয় রাজ্য গড়ে উঠেছিল।এই ষোড়শ মহাজনপদগুলি হল: ‘কাশী, কোশল, অঙ্গ, মগধ, বজ্জি, মল্ল, চেদি, বৎস, কুরু, পাঞ্চাল, মৎস, সুরসেনা, অস্মক, অবন্তী, গান্ধার এবং কম্বোজ। গঙ্গার উত্তরে ছিল কোশল রাজ্য। এই রাজ্যেরই এক সমৃদ্ধশালী নগরী ছিল শ্রাবস্তী।

বিদর্ভ নগর

শ্রীকৃষ্ণের স্ত্রী রুক্মিণী বিদর্ভের রাজকন্যা ছিলেন।
বিদর্ভ বর্তমান মহারাষ্ট্রের উত্তরপূর্ব নাগপুর ও অমরাবতী অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল। বর্তমান মধ্যপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার সাথে তৎকালীন বিদর্ভের সীমানা সংযোগ ছিল।

বিদিশা।

ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের বিদিশা জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা।বিদিশা শব্দের বাংলা অর্থ বিদিশা বিদিক, অন্য দিক, প্রতিকূল বা ভুল দিক। মালবের অন্তর্গত প্রাচীন নগরীবিশেষ।ভারতবর্ষের প্রাচীন মালব দেশের একটি নগরী

দারুচিনির দ্বীপ।

শ্রীলঙ্কা সত্যি সত্যি বিখ্যাত দারুচিনির জন্য, ওরা পর্যটকদের যা যা দেখায়, তার মধ্যে মসলার বাগান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই সেসব বাগানে দারুচিনির গাছ আছে বীর বিক্রমে। কাজেই, এটা হতেই পারে যে শ্রীলঙ্কাই হলো জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কবিতার দারুচিনি দ্বীপ।

লেখকঃ
নেহাল আহমেদ কবি ও সাংবাদিক।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here