মোঃ আমিরুল হক,বালিয়াকান্দিঃ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর কেন্দ্রীয় হাট জামে মসজিদের ইমামকে তারানোর ঘটনায় এলাকার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চাপা ক্ষোভের। মসজিদ কমিটির উপর ক্ষিপ্ত অনেক মুসল্লি। আর সেই ক্ষোভের সমাপ্তি ঘটাতে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ অনেক বড় একটি ভূমিকা রেখেছে বলে জানা গেছে।
গত ১১ জুলাই রবিবার ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে বহরপুর কেন্দ্রীয় হাট জামে মসজিদের পেশ ইমাম মোঃ মামুন বিন মেজবাহকে অনৈতিকভাবে তারানোয় এলাকার সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সুষ্টি হয়। আর এব্যাপারে কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটতে পারে আচ করতে পেরে বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান, এস,আই মিজানুর রহমান, এস,আই মোঃ আবু জাফরসহ সঙ্গীয় ফোর্স মসজিদে উপস্থিত থেকে পরিবেশ শান্ত রাখেন। এসময় পরিবেশ শান্ত রেখে সকলে সম্পৃীতি বজায়ে চলার পরামর্শ দেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, এখানে ইমামকে তারানোর বিষয়ে এলাকার অনেকেই সুযোগ নিয়ে পরিবেশকে অশান্ত করতে পারে, উশৃঙ্খল যুবসমাজ কোন অপ্রিতিকর ঘটনার জন্ম দিতে পারে। এবিষয়ে সকলে সজাগ থাকবেন। যেন কোন অবস্থাতেই কেউ আইনকে হাতে তুলে না নেয়। পরিবেশ শান্ত রেখে সকলে মিলেমিশে এক সাথে থাকবেন বলে আমি আশা রাখি।
ইমামকে চাকুরিচ্যূত করতে বহরপুর কেন্দ্রীয় হাট জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক মোঃ ফারুকুজ্জামান খদেম মোঃ নুরুল ইসলামের ফোনে বলেন, “শয়তানির জায়গা পাওনা, তোর বড় নাং কোথায়, তোর বড় নাংকে ফোন দিবার ক। কত বড় আশপর্দা নিষেধ করার পর মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ে, ওর টাকার এতো লোভ, যদি বেইজ্জতি হয়ে বহরপুর থেকে না যেতে চাশ তাহলে বহরপুর আর আসবি না। আর যদি বেইজ্জতি হয়ে যেতে চাশ তাহলে হাটের মধ্যে বেইজ্জত করে তোদের তারানো হবে”। এ বিষয়ে অনেকেই বলেন, ঈদের নামাজ বিষয় না। এই মসজিদের অনেক গোপন বিষয় আছে। যতদিন পর্যন্ত সেটা কেউ না জানবে, ততদিন চাকরি থাকবে। গোমর কথা জানলেই তাকে কোন না কোন অপবাদ দিয়ে তারানো হবে। তবে মসজিদ পরিচালনা কমিটিতে একটি পরিবার আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। এদের হটানো দরকার বলে মনে করে স্থাণীয় মুসল্লিগণ। এই মসজিদটি পারিবারিক তন্ত্র হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে বহরপুর কেন্দ্রীয় হাট জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ সাইফুজ্জামান চুন্নু বলেন,আমরা ঈদের আগের দিন মসজিদে জামাত করতে নিষেধ করেছি। তবে পরে শুনতে পারি তিনি ৬/৭ জনকে নিয়ে নামাজ আদায় করেছেন। তিনি এটা ঠিক করেননি। আর সাধারণ সম্পাদক কি বলেছে সেটা আমার জানা নাই। যদি সে কোন খারাপ ভাষা প্রয়োগ করে থাকেন সেটা ঠিক হয়নি। ইমাম সাহেব সম্মানী ব্যাক্তি তাকে নিয়ে কটুক্তি ঠিক নয়। সাধারণ সম্পাদক সৌদি থেকে ফিরে এলে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রেজুলেশনের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়োগের সময় রেজুলেশন করা হয়েছিল। বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক দেশে না থাকায় রেজুলেশন করা সম্ভব হয়নি।