স্বামী ভ্যান চালিয়ে ও স্ত্রী মানুষের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে তিলে তিলে জমানো কষ্টার্জিত ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছাগল ক্রয় করেন। ছাগলটি গ্যাসের সমস্যা হলে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে শনিবার দুপুর ১২টায় নিয়ে আসেন। জরুরী বিভাগে এসে বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করাসহ বিকাল ৩টা পর্যন্ত চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করে ও মোবাইলে স্থানীয় লোকজনের মোবাইল দিয়ে ফোন করেও কোন চিকিৎসকের পাওয়া যায়নি। অবশেষে বিকাল ৩টার দিকে ছাগলটি মারা যায়। মারা যাওয়ার পর কান্নাকাটি করলে দ্বিতীয়তলা থেকে বলে কি হয়েছে। এ ভাবেই কান্না জড়িত কন্ঠে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বুধোই শেখের স্ত্রী রাজিয়া বেগম কথাগুলো ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমার বড় ছেলে ফরিদ শেখ ৩-৪ বছর আগে মারা যায়। মেঝ ছেলে রাকিব কিডনী রোগে আক্রান্ত ও ছোট ছেলে রহমত প্রতিবন্ধী আর ২ মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। স্বামী ভ্যান চালিয়ে ও আমি মানুষের বাড়ী ঝিয়ের কাজ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ছাগল কিনে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা না পেয়ে আমার ছাগলটি মারা গেছে। আমি বিচার দাবী করছি। আমার যে সর্বনাশ হলো, তার বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল খান বলেন, ওই মহিলা ছাগল নিয়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে অপেক্ষা করছিলেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও না পেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলেন। আমি আবু হেনাকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিপ করেননি । তার ছেলে বলেন, আব্বা বাসায় নেই। তবে ছাগল মারা যাওয়ার পর কিভাবে বাসার দ্বিতলা থেকে কথা বললেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শাহিনুর ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিপ করেননি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক সরদার বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির ২দিন আমাদের ডিউটি বাধ্যতামুলক নয়। তবে ভুক্তভোগীরা যেকোন লোকের ডেকে কাজ করে নিবেন। আর যে নিতে পারবেন না সেটা তার ব্যর্থতা।