Monday, November 18, 2024

মারা যাওয়া আনোয়ার হোসেন অবশেষে জীবিত হলেন

জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে মারা যাওয়ার পর এবার জীবিত হলেন সেই মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর ৯ বিকেলে তিনি করোনা টিকার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান পাওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আনোয়ার হোসেন এ মাসের প্রথম দিকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে কম্পিউটার দোকান থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের সুরক্ষা অ্যাপে করোনার টিকার নিবন্ধন করাতে গিয়ে জানতে তিনি মৃত। বিষয়টি জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান তিনি। কিভাবে মৃতের তালিকায় তার নাম উঠলো সেটি তিনি তাৎক্ষনিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না।
আনোয়ার হোসেন বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বড়হিজলী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মোল্যার। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলার একটি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।

জানাযায়, আনোয়ার হোসেন ২০০৮ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র পান। দৈনন্দিন কাজে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি বিভিন্ন অফিসে ব্যবহার করেন। কিন্তু কখনোই অনলাইনে সার্চ দিয়ে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করেননি। টিকার আবেদন না করতে পেরে নিবার্চন অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন অনেক আগেই মারা গেছেন।

এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই ২০১২ সালে মারা গেছেন। এখনো জাতীয় পরিচয়পত্রে তার তথ্য রয়েছে। মৃত ভোটারদের বাদ দেয়ার সময় তথ্য সংগ্রহকারী হয়ত ভুলবশত আমার বড় ভাইয়ের পরিবর্তে আমার নামটি লিপিবদ্ধ করেছিলেন। ফলে মৃতের তালিকায় আমার নামটি অন্তর্ভূক্ত হয়। তিনি বলেন, সমস্যাটি অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান হয়েছে। বালিয়াকান্দি নির্বাচন অফিস খুব আন্তরিকতার সাথে আমার সমস্যাটি সমাধানে কাজ করেছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here