নেহাল আহমেদ,রাজবাড়ীঃ ঈদ এলেই বিশেষ করে ঈদুল আজহা ঈদ এলেই মৌসুমি কসাইদের কদর বেড়ে যায়।এক একজন কমপক্ষে দশ হাজার টাকা নিয়ে ঘরে ফেরেন।রহমত নামে একজনকে জিজ্ঞেস করতেই বলেন, “আমরা ঈদে কে কোথায় কাজ করব তা ঠিক করা আছে। এখান থেকে আমাদেরকে কাজ বণ্টন করা হবে।”সাধারনত এক বছর আগেই আমাদের ঠিক করা থাকে কাজ।
রহমতের বাড়ি কুষ্টিয়া। সেখানে ক্ষেতে খামারে কাজ করেন। তার সঙ্গে থাকা আব্দুল ও পেয়ার আলীও রহিমের সঙ্গে কাজ করেন। তারা দুজনও পশু জবাইয়ের কাজ করে বাড়ি যাবেন বলে জানান।
মাংস বাজারের কসাই ইদ্রিস আলী বলেন, তার হাতে বিশজন যুবক আছেন। তারা অন্য পেশার সঙ্গে জড়িত হলেও ঈদে তার সঙ্গে কসাইয়ের কাজ করবেন।
রাজবাড়ী শহরের মজিবুর রহমান বলেন, ঈদের সময় কসাই পাওয়া খুবই কঠিন। মহল্লার এক যুবক তার গরুটি আরো কয়েকজন যুবককে নিয়ে তৈরি করে দেবে। পারিশ্রমিক হিসেবে তাদেরকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিতে হবে।
মোবারক নামে এক ব্যবসায়ী জানান গরু কেনার পর থেকে দুদিন ধরে খুঁজেও কোথাও কসাই পাচ্ছিনা।আগে গ্রামের মানুষ সমবেত হয়ে মাংস কাটা হতো এখন আর সেই সম্প্রীতি নাই বলে জানান।
ধুনচী গ্রামের ব্যবসায়ি আরমান মিয়া গরুর দাম পঞ্চাশ হাজার টাকা। তাই কসাইকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। এই শর্তে চারজন কসাই ঠিক করেছি।
চারজনই পেশাদার কসাই কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ‘জাত কসাই’, বাকি তিন তার সহযোগী।
শহরের চামড়া ব্যবসায়ী আকতার খান বলেন, অদক্ষ কসাইদের কারণে প্রতি বছর প্রায় আট শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়। এটা জাতীয় সম্পদ সঠিক ভাবে চামড়া না ছাড়ালে চামরা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।