গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লী হতে এক গৃহবধূকে (২০) উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ তার বাড়ী গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানা এলাকায়।
মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও বাসন থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পল্লীর শিরিন বাড়ীয়ালীর বাড়ি হতে তাকে উদ্ধার করে। বাড়ীয়ালী তাকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যাবসা করাত বলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত বাড়িয়ালী শিরিন বা অন্য কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।বুধবার বিকেল ৫ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে বাসন থানায় মানব পাচার আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
এ বিষয়ে বাসন থানার এসআই ফারুক হোসেন মুঠোফোনে ইনকিলাবকে জানান, ওই গৃহবধূ গত ১১-০৮-‘২১ তারিখ নিখোঁজ হয়।সে দরিদ্র স্বামীর সংসারে সহযোগিতার জন্য গার্মেন্টসে চাকরি খোঁজার উদ্দেশ্যে বাসা হয়। এরপর পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে।
এ ঘটনায় তার স্বামী গত ৭-৯-‘২১ তারিখ বাসন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে এবং তার স্ত্রী পাঁচারের শিকার হয়ে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে আটকে রয়েছে বলে আমাদেরকে জানায়। বিষয়টি তৎক্ষনাৎ আমাদের থানার ওসি মোঃ মালেক খসরু গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করে তার সহযোগিতা চান।সে অনুযায়ী আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় পৌছাই।পরে সেখানে থাকা গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দলের সাথে যোগ দিয়ে পল্লীর শিরিন বাড়ীয়ালীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ঘর হতে তাকে উদ্ধার করি। তবে এ সময় বাড়ীয়ালী পালিয়ে সেখান থেকে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় বাসন থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাসন থানা এবং আমাদের থানা পুলিশের একটি টিমের যৌথ প্রচেষ্টায় ওই গৃহবধূকে পল্লীর শিরিন বাড়ীয়ালীর বাড়ি হতে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানি।সে ক্ষেত্রে আসামি গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও আমাদের সহযোগিতা লাগলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।