নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাদক মামলায় রাজবাড়ীতে মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৫) নামে এক মাদক ব্যাবসায়ীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর আসামী রনিকে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর টেবিল ৩(খ)/২৫ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস প্রদান করা হয়েছে।
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার পানিঘটি’র মোঃ রেজাউল শিকদারের ছেলে। অপর আসামী রনি (পলাতক) গোয়ালন্দ ঘাট থানার কাজী পাড়া’র আঃ জলিলের ছেলে ।
১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ১৯(১) টেবিল ৩(খ)/২৫ ধারায় রাজবাড়ী’র অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক জান্নাতুন লিলিফা আকতার এ রায় প্রদান করেন । গোয়ালন্দঘাট থানার মামলা নং-১৩, তারিখ ৩০/০৮/২০১০ খ্রিঃ।দায়রা মামলা নং-০৪/২০১১ জি,আর, মামলা নং-১৫৪/২০১০।
মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পি,পি মোঃ আবু বকর মিয়া ও আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিজান কুমার বুস ও সুজয় কুন্ডু ।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, গোয়ালন্দ ঘাট থানার এস,আই মোঃ শামিনুল হক, সঙ্গীয় কং/২০৮ আবুল হোসেন, কং/৩২৮ সিরাজুল ইসলাম, কং/৩৭১ সাহাবুর রহমান, কং-৩৭৯ জিয়াউর রহমান ধৃত আসামী মাগুরার মোহাম্মদপুর থানার পানিঘটি’র মোঃ রেজাউল শিকদারের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৫)কে নিয়ে থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে এজাহার দায়ের করেন যে, গোয়ালন্দঘাট থানার এম,সি,সি নং ৬৫০/২০১০, ৩০শে আগস্ট ২০১০ মূলে গোয়ালন্দঘাট থানা এলাকায় মোবাইল ডিউটি করাকালীন বেলা পৌনে ২টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, ঢাকাগামী সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস পরিবহন নং ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-১১৪৪ এর ঋ-১ নং সীটের যাত্রী আব্দুল্লাহ আল মামুন ভারতীয় ফেন্সিডিল বিক্রয় করার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গোয়ালন্দ ফিড মিলের সামনে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের উপর বেলা ২টার সময় উক্ত গাড়িটি পৌঁছালে সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় বর্ণিত সীটে বসা আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে ও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে উক্ত গাড়ির সাইড বক্সের ভিতর হতে আসামী নিজ হাতে একটি খাকি রংয়ের কার্টুনের মধ্যে হতে ৪৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার পূর্বক দুপুর ২টা ৫মিনিটে জব্দ তালিকামূলে জব্দ করেন।
আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আরো জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তার সহযোগী আসামী রনি সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের সহায়তায় দীর্ঘদিন যাবৎ ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে আসছে। পরে তিনি আসামী ও জব্দকৃত আলামতসহ গোয়ালন্দঘাট থানায় উপস্থিত হয়ে আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ১৯(১) টেবিলের ৩(খ)/২৫ ধারায় এজাহার দায়ের করেন।