নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ী: জেলায় সাড়ে ৬ হাজার খামারে ৫৫ হাজার গরু প্রস্তুত করা হয়েছে আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে।
রাজবাড়ী জেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানান এ বছর কোরবানী ঈদে রাজবাড়ী জেলায় ৫০ হাজার পশুর চাহিদা থাকলে ও কোরবানীর জন্য ৫৫ হাজার পশু প্রস্তত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ৩০ হাজার ছাগল ২০ হাজার এবং মহিষ ভেড়া প্রায় ৫ হাজার।আসন্ন কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে রাজবাড়ীতে প্রাকৃতিক উপায়ে বড় আকৃতির গরু মোটাতাজা করা করা হয়েছে। এ বছর হলইস্টান ফিজিয়ান জাতের ৩৫ মন ওজনের রাজবাড়ীর রাজা সহ বড় আকৃতির গরু ২০ টি গরু প্রস্তুত করেছে রয়েল এগ্রো ফার্ম নামের খামারটি।২২ মণ থেকে ৩৫ মণ ওজন পর্যন্ত গরু রয়েছে খামারটিতে।
এ বছর রাজবাড়ীর রাজা নামে ৬ ফুট উচ্চতা ও সাড়ে তের ফুট লম্বা হলইস্টান ফিজিয়ান জাতের সাদা কালোর মিশেলের ৩৫ মণ,১ হাজার ৪ শ কেজি ওজনের গরুটির দাম হাকা হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা।এরকম ২২ মণ থেকে শুরু করে ৩৫ মণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ২০ টি বড় আকৃতির গরু মেটাতাজা করেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার রয়েল এগ্রো ফার্মটি।তাদের এখানে প্রাকৃতিক উপায়ে লাগানো ঘাস,ছোলা,ভুষি, ডাল সহ বিভিন্ন খাবার খাইয়ে এই গরু গুলো মোটা তাজা করন করা হয়েছে সামনে কুরবনীর ঈদকে সামবে রেখে। কোন ধরনের কেমিক্যাল বা বাজারের ফিড জাতীয় খাবার খাওয়ান খামার কতৃপক্ষ। ফার্মটিতে ২৩ মণ, ২৫ মণ ও ২৮ পর্যন্ত পাকিস্তানি সিন্ধি,শাহীওয়াল ও ফিজিয়ান জাতের সাদা,কালো,লালচে মিশ্র বর্ণের এ গরু গুলো মোটাতাজা করন করা হয়েছে।ইতমধ্যে বড় আকৃতির গরু খবর শুনে অনেক ক্রেতা দূর দুরান্ত থেকে আসছেন গরু কিনতে ও দেখতে।
দাম দেখছেন,কতৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কিনবেন বলে জানান ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা।গত কয়েক বছরের মত এবছরও অনলাইনে গরু বিক্রয় ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। এতে ক্রেতারা অনলাইনের মাধ্যমে গরু ক্রয় করতে পারছে। রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলাতেই এবছর ঈদকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা কর হয়েছে। তবে বড় খামার গুলো বড় আকৃতির গরু লালন পালন করেছেন ঈদ উপলক্ষে।এবছর সাড়ে ছয় হাজার ছোট বড় খামারে ৫৫ হাজার গরু পরিচর্যা ও মোটাতাজা করা হচ্ছে।তবে ভারতীয় গরু আমদানি না করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান খামারিরা।