নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌরুটে রাজধানীতে ফেরা মানুষের ভীর দেখা গেছে। পদ্মা সেতু
নির্মানের আগে ভোগান্তির অপর নাম ছিল দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। তবে মাওয়া-জাজিরা নৌপথে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সেই ভোগান্তি কমে এসেছে । মানুষ স্বস্তিতেই কর্মস্থলে ফিরছে। তবে স্বস্তির যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বৃষ্টি।
২জুলাই (রবিবার) ফেরিঘাটে দেখা যায় মানুষের কর্মস্থলে ফেরার চিত্র। আজ থেকে অফিস শুরু হলেও গতকালের মতো আজকেও তেমন একটা ভীড় লক্ষ্য করা যায়নি। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় গাড়ীর যথেষ্ট ভীড় বেড়েছে। বারবার বৃষ্টির হানায় বিপদে পড়ছে মোটরসাইকেল আরহীসহ হেটে আসা যাত্রীরা। পরিবার পরিজন নিয়ে বিশেষ করে ছোট বাচ্চা নিয়ে যারা হেটে বা বাইকে যাচ্ছে তাদের বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে।
কুষ্টিয়া থেকে থেকে গাজীপুর ফিরছিলেন মোখলেছুর রহমান বলেন আজ অফিস কিন্তু বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই বারবার বৃষ্টি হানা দিচ্ছে, এদিকে ছোট্ট বাচ্চা সাথে। তাই পথ থেকে পলিথিন কিনে তাদের ঢাকার ব্যাবস্থা করেছি।
এসময় এম্বুলেন্স করে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন সোহরাব হোসেনসহ তিন চারজন। সোহরাব বলেন, হঠাৎ তার বাবা অসুস্থ হওয়ায় যশোর থেকে তারা হার্টফাউন্ডেশনে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু অপেক্ষা এখান দিয়ে গেলে তারাতাড়ি যেতে পারবে তাই এখান দিয়ে আসা।
ঘাট সুত্রে জানাযায় , এবার ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট বড় মিলে ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। এছাড়া ঘাটের যানজট নিরসনে ঈদের আগে ও পরে মোট ৭ দিন অপচনশীল পন্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রয়েছে। এছাড়া স্বস্তিতে পারাপারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ” ঈদে কর্মস্থলে ফেরার ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। কর্মস্থলে ফেরা মানুষের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে এবং দৌলতদিয়া প্রান্তে ৪টি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আশা করছি ঈদে কর্মস্থলে ফেরাটা যাত্রীদের জন্য নির্বিঘ্ন হবে।”