নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে শুটিংয়ের নামে এক তরুনীকে নিয়ে এসে গোয়ালন্দ উপজেলার বৃহত্তর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দিয়েছিলো এক ব্যক্তি। বিক্রির দেড় বছর পর তরুণীকে উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। তরুণীর কাছে আসা এক খদ্দেরের মোবাইল ফোন নিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করলে তার কিছুক্ষন পরেই গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ তাকে উদ্বার করে।
শনিবার(১৪ আগস্ট) এজাহারের মাধ্যমে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ জানায়।
শুক্রবার(১৩ আগস্ট) রাতে তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। ওই তরুণী চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি উপজেলার দরিদ্র এক পরিবারের মেয়ে। শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা আবুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া সাত্তার শেখের মেয়ে রিতা বেগম (২৭) ও তার স্বামী কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার বিদ্যুৎপাড়া এলাকার সামছুল আলমের ছেলে সোহেল রানাকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এজাহারে উদ্ধার হওয়া তরুণী জানান, তিনি অতি দরিদ্র পরিবারে মেয়ে। তিনি ছোট থাকতেই তার মা তার বাবার সংসার ফেলে অন্যত্র বিয়ে করেন। এ অবস্থায় প্রায় ৭ বছর আগে হেমায়েতপুরের কানারচর এলাকায় তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই ব্যক্তি চলচ্চিত্র জগতে তার ভালো যোগাযোগ আছে জানিয়ে তরুণীকে নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখায়। এর সূত্র ধরে ওই ব্যক্তি শুটিংয়ের কথা বলে ফুঁসলিয়ে গত বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে তাকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে রিতা বেগম ও সোহেল রানার কাছে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
এরপর থেকে রিতা ও সোহেল তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে একটি কক্ষে আটক রেখে জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক পুরুষের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে যৌনকর্মে বাধ্য করে। এ পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার তার কক্ষে এক ব্যক্তি আসে। তাকে তিনি সব কিছু খুলে বলেন এবং তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে ৯৯৯-এ কল করে উদ্ধারের আকুতি জানান। এর কিছুক্ষণ পরেই গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, ধৃত আসামীদের বিরুদ্বে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে মামলা দিয়ে শনিবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।