Friday, November 22, 2024

নাব্যতা সংকটে আটকে আছে ১৫টি কার্গো জাহাজ

মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দঃ  পদ্মা-যমুনা নদীতে সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে।এতে দৌলতদিয়া পেরি ঘাটে অদুরে পদ্মা নদীতে আটকে আছে উত্তরাঞ্চলগামী ১৫ টির বেশি জরুরি পণ্যবোঝাই কার্গো জাহাজ।

সরেজমিনে সংশ্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , উত্তরাঞ্চলে পণ্য পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ দৌলতদিয়া নগরবাড়ী বাঘাবাড়ী । এ রুটদিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্রবাহি শত শত কার্গো জাহাজ চলাচল করে থাকে। কিন্তু চলতি শÍস্ক মৌসুমে নদীর পানি অ¯^াভাকি ভাবে কমে গিয়ে নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে।পাশামপাশি চ্যানেলে পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের ব্যাহত হচ্ছে। এক একটি জাহাকে গন্তব্যে পৌঁছাতে ৫ থেকে ৭দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। এ অবস্থায় চট্রগ্রাম ও মোংলা চিটাগাং বন্দর থেকে ছেড়ে আসা পাবনা নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী বন্দরগামী বিভিন্ন মালামাল ডিএপি সার ,পিএসপি সার ,গম ,কয়লা বোঝাই কোষ্টার জাহাজগুলো গত কয়েক দিন ধরে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৭ নাম্বার ফেরি ঘাটের ১ কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা নদীতে আটকে আছে।

আটকে থাকা কার্গো জাহাজ গুলো হতে ট্রলার ও বলগেটের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য নামিয়ে গন্তব্য স্থানে নেয়া হচ্ছে।এ ভাবে কয়েক দিন পণ্য খালাস করার পর কার্গো জাহাজটি ঘাট থেকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের
বাড়তি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। পণ্য সামগ্রী ও যথা সময়ে গন্তব্যে স্থানে পৌছাতে বিলম্ব হচ্ছে। দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে নোঙর করে আছে ২০টির অধিক কোষ্টার জাহাজ সে অনেক শ্রমিক ঐ জাহাজ গুলো থেকে মালামাল নামানো কাজ করছে।
দীপশুভ জাহাজের মাষ্টার মজিবুর রহমান বলেন, চিটাগাং থেকে জাহাজ নিয়ে আসার পথে নদী মাঝে ডুবোচরে আটকে যায় জাহাজ। অনেক সময় ঘুরে আসার কারনে জ্বালানি খরচ বেশি লাগছে। তার পর ঘাটে আসার পর নদীর কিনারায় চাপাতে পারছি না জাহাজটি নদীর মাঝে রেখে ট্রলার দিয়ে মালামাল অনলোড করতে
হচ্ছে।তিনি আরো বলেন নাদীতে নাব্যতা সংকটের কারনে বেশি ভাগ জাহাজ গুলো
দাশকান্দি ঘাটে চলে যাচ্ছে।
চুন্নখান প্লাস জাহাজের মাষ্টার বলেন, চট্রগ্রাম থেকে পি এসপি সার লোড করে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। নদী পরিপূর্ণ থাকলে ঘাটে আসতে সময় লাগতে মাত্র দুই থেকে তিনদিন। নদীতে ডুবো চরের কারনে এখন সময় লাগছে চার থেকে পাঁচ দিন ।নদীতে চলতে ভয় করে কারন নদীর মাঝে মাঝে রয়েছে বড় বড় ডুবোচর জাহাজ চালাতে হিমশিম খেতে হয় । অনেক সময় ডুবো চরে জাহাজ আটকে যায় সেখানেই দুই একদিন কেটে যায়। আগের চেয়ে অনেকটাই জ্বালিনি খরচ বেশি লাগছে। দৌলতদিয়া ঘাটে আসার পর জাহাজটি নদীর কিনারায় নোঙর করতে পারছি না নদীর মাঝে থেকে ট্রলার দিয়ে আনলোড করতে হচ্ছে।

বিআইডব্লিটিএ আরিচা অঞ্চল মানিকগঞ্জ ড্রেজিং বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আক্কাছ আরী বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে কোন নাব্য সংকট নেই। নদীতে পানি আছে ১২ ফুটের উপরে । এসব পন্যবাহী জাহাজ চলাচলে
জন্য প্রায়োজন ১২ থেকে ১৭ ফুট পানির গভীরতা।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here