পশ্চিমারা শনিবার দিনের শেষদিকে তাদের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার ব্যাংকিংখাত পঙ্গু করে দেয়ার জন্য আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণার পর মস্কো ইউক্রেনের ‘সব দিক থেকে’ সৈন্যদের এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকে তিন শিশুসহ ১৯৮ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়ছে। বাধ্য হয়ে ভূগর্ভস্ত সেল্টারে আশ্রয় নেয়া লোকদের অবস্থানে বিষ্ফোরণ না ঘটানোর জন্য কিয়েভে সক্রিয় রাশিয়ান বাহিনীকে তারা সতর্ক করেছে।
মস্কো বলেছে, সমঝোতা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করার পর তারা সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে এবং তাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
রুশ আগ্রাসনের তৃতীয় দিনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন যে, তার দেশ কখনোই ক্রেমলিনের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। ওয়াশিংটন বলেছে,‘ আগ্রাসনকারী বাহিনীর ‘ গতি মন্থর’ হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা রাজধানীতে রাশিয়ান বাহিনীর একটি আত্রমণ প্রতিহত করেছে। তবে রাজধানীতে অনুপ্রবেশকারী রুশ নাশকতাকারিদের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে।
জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “আমাদের দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই করবো।”
তিনি এর আগে বলেছেন, তাকে উৎখাত করার জন্য মস্কো ইউক্রেনকে “লাইনচ্যুত” করছে এবং সংঘাত বন্ধে পুতিনকে চাপ দেয়ার জন্য তিনি রাশিয়ানদের প্রতি আহবান জানান।
আগ্রাসনের জবাবে পশ্চিমারা এসডব্লিউআইএফটি (সোসাইটি ফর ওয়াল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) বার্তা সিস্টেম থেকে কিছু রাশিয়ান ব্যাংক অপসারণ করবে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করবে, যা বিশ্বের বেশীরভাগ দেশের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যকে পঙ্গু করে দেবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই আগ্রাসনের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এর আগে তিনি গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম পাঠানোর জন্য “অংশীদারদের” ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন নতুন সামরিক সহায়তা হিসেবে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বার্লিন বলেছে, কিয়েভকে তারা ১ হাজার এন্টি-ট্যাংক গোলা এবং ৫০০ স্টিনজার মিশাইল সরবরাহ করবে। প্যারিস বলেছে, তারা আরো অস্ত্র সরবরাহ করবে।