কালজ্বয়ী উপন্যাস “বিষাদ সিন্ধু”র রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৪তম জন্মবার্ষিকী কাল ১৩ নভেম্বর। ঊনবিংশ শতাব্দির সর্বশ্রেষ্ট মুসলিম সাহিত্যিক “বিষাদ সিন্ধু’র” অমর লেখক মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা শহরের তিন মাইল পূর্বে গড়াই ব্রীজের নিকটস্থ লাহিনীপাড়া গ্রামে ভূ-সম্পত্তির অধিকারী এক ধর্নাঢ্য মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মীর মোয়াজ্জ্বেম হোসেন এবং মাতার নাম দৌলতন নেছা।
তিনি ১৯১১ সালের ১৯ডিসেম্বর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে মৃত্যু বরন করেন। পদমদীতে তাকে সমাহিত করা হয়। তার স্মৃতি রক্ষার্থে পদমদীতে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। তবে সেই স্মৃতি কেন্দ্র যার জন্য আলোকিত তাকে শুধু দিবসেই মনে রেখেছে সবাই।
মীর মশাররফ হোসেন লিখিত গ্রন্থ সমূহ: রতœবতী উপঃ ১৮৭৩, বসন্তকুমারী নাটক ১৮৭৩, জমিদার দর্পন নাটক ১৮৬৯, গড়াই ব্রীজ বা গৌড়ী সেত কবিতাগ্রন্থ ১৮৭৩, র্এপায়কি প্রহসন ১৮৭৬, বিসাদ-সিন্ধু ঐতিহাসিক উপন্যাস ১৮৮৫-৯১, সঙ্গীত লহরী ১৮৮৭, পো-জীবন প্রবন্ধ ১৮৮৯, উদাসিন পথিকের মনের কথা জীবনী ১৮৯৯, গাজী মিয়ার বস্তানী রম্যরচনা ১৮৯৯, মৌলদ শরীফ পদ্যে পদ্যে লিখিত ধর্মীয় গ্রন্থ ১৯০০, মুসলমানের বাঙ্গাল শিক্ষা ছাত্রপাঠ্য ১ম ভাগ ১৯০৩ এবং দ্বিতীয় ভাগ ১৯০৮, বিবি খোদেজার বিবাহ কাব্য ১৯০৫, হযরত ওমরের ধর্ম জীবন লাভ কাব্য ১৯০৫, হযরত বেলালের জীবণী প্রবন্ধ ১৯০৫, হযরত আমীর হামজার ধর্ম জীবন লাভ কাব্য ১৯০৫, মদিনার গৌরব কাব্য ১৯০৫, মদিনার গৌরব কাব্য ১৯০৬, মোশ্লেম বীরত্ব কাব্য ১৯০৭, এসলামের জয় প্রবন্ধ গ্রন্থ ১৯০৮, আমার জীবনী আত্মজীবনী ১৯০৮-১০, বাজীমাত কাব্য ১৯০৮, হযরত ইউসোফ প্রবন্ধ গ্রন্থ ১৯০৮, খোতবা বাঈদুল ফিতর কাব্য ১৯০৮ ও বিবি কুলসুম জীবণী ১৯১০।
মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বাংলা একাডেমির প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফয়সাল আমিন বলেন, আধুনিক বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রথম মুসলিম রূপকার, কালজ¦য়ী বিষাদসিন্ধুর রচয়িতা ও জমিদার দর্পণখ্যাত মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৪তম জন্মবার্ষিকী কাল ১৩ নভেম্বর। দিবসটি উপলক্ষে বাংলা একাডেমী, উপজেলা প্রশাসন, মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদ, মীর মশাররফ হোসেন কলেজসহ স্থানীয় বিভিন্ন সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠন পদমদীতে তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভার কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।