ঢাকা, রোববার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২: জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে এবছর সংসদ সদস্যেদের নিকট খোলা চিঠি পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএমএসএফ। আগামি ২০ এপ্রিল থেকে এ চিঠি পাঠানো শুরু হয়ে চলবে গণমাধ্যম সপ্তাহের শেষ দিন ৭ মে পর্যন্ত।
আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান জানান, প্রতিবছর ১-৭ মে জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ নানা আয়োজনে উদযাপন হয়ে থাকে। চলতিবছর ৬ষ্ঠবারের মত সপ্তাহটি উদযাপিত হবে, তবে এবছর ঈদ উল ফিতরের সরকারি বন্ধ থাকায় সপ্তাহটিতে উল্লেখযোগ্য আয়োজন থাকছেনা। পহেলা এবং ৭মে ভার্চুয়াল আলোচনা, লিফলেট বিতরণ, প্রচার প্রচারণা থাকছে। ঈদের কারণে শুরুতে র্যালী (রেলি) এবং সমাপনী দিনে ঢাকায় জাতীয় সমাবেশ থাকছেনা।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সোহেল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ তাই রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জরুরী বলে মনে করি। এদেশে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম অঙ্গনের প্রাণের দাবী জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়া প্রয়োজন; কেননা এদেশে মৎস সপ্তাহ, কৃষি সপ্তাহ, পুলিশ সপ্তাহ, স্বাস্থ্য সপ্তাহ, আনসার সপ্তাহ ইত্যাদি নানা সপ্তাহ রয়েছে। এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবিটি মেনে নিবেন বলে আশা করি।
গণমাধ্যম সপ্তাহের প্রবক্তা, বিএমএসএফ প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর গণমাধ্যমকে বলেন, সমাজের নানা পেশার মানুষের উন্নয়নে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়। কিন্তু গণমাধ্যমের উন্নয়ন নিয়ে কারো যেন মাথাব্যথা নেই। বিএমএসএফ প্রতিবছর ১-৭ মে গণমাধ্যম সপ্তাহটি নানা আয়োজনে পালন করে থাকে। ইতিপূর্বেকার বছরগুলোতে গণমাধ্যম সপ্তাহটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সারাদেশের শাখাসমুহের নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পাঠিয়ে আসছে। এবছর দাবিটি তৃণমূল থেকে সংসদে পৌঁছাতে শাখাসমুহ থেকে স্থানীয় এমপিদের নিকট খোলা চিঠি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এমপিরা গণমাধ্যম সপ্তাহের প্রয়োজনীয়তার স্বপক্ষে মহান সংসদে মতামত দিলে সপ্তাহটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে সহজ হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।