Saturday, April 27, 2024

গোয়ালন্দের হাইব্রিড করলা চাষে ব্যস্ত কৃষক

মোজাম্মেলহক লালটু, গোয়ালন্দ: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া চর অঞ্চলের কৃষকেরা হাইব্রিড ইরি করলা চাষে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। ইরি করলা উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু উপযোগী ফসল।এটি বৈরী পরিবেশ সহিষ্ণু উদ্ভিদ মোটামুটি শুস্ক আবহাওয়াতে ও এর ফলন খুবী ভাল হয়ে থাকে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চর অঞ্চলের উচু জমিতে গুলোতে কৃষকেরা ইরি করলা চাষ করছে। ইরি করলা অল্প সময়ে ফলন দিয়ে থাকে। সে কারনে চরের জমি গুলোতে করলা চাষ বেশি হয়ে থাকে। করলা গাছ গুলো বড় হওয়াতে সেই গাছের সাথে পাট কাটি দিয়ে গাছ গুলো বেধে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে গাছ গুলো মাটিতে পড়ে নষ্ট না হয়। আর কিছু দিন পরে করলা ক্ষেতে মাচা করে দিবেন কৃষকেরা। মাচা করে দিলে ইরি করলা ফলন বেশি হয়ে থাকে সে ফলন নষ্ট হয় না দেখতে খুবী সুন্দর হয়। বাজারে মাচায় চাষ করা করলার বেশি চাহিদা থাকায় কৃষকেরা কম খরচে ইরি করলা চাষ করে থাকে। হাইব্রিড জাতের করলা মাত্র ৩৫ থেকে৪০ দিনের মধ্যে ফলন দিয়ে থাকে। এই জাতের করলা চর অঞ্চলের কৃষকেরা বেশি চাষ করে থাকে। হাইব্রিড খাটো করলা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি হওয়াতে পদ্মা পাড়ের কৃষেকরা জমি থেকে পানি চলে যাওয়ার কিছু দিন পরেই সে জমিতে হাইব্রিড করলা চাষ করে।
কৃষক হারুন, মোস্তফা সাথে আলাপ কালে বলেন, দুই বিঘা জমিতে হাইব্রিড করলা চাষ করছি। এই জাতের করলা অল্প সময়ের মধ্যে ফলন দিয়ে থাকে মাত্র৩৫ দিন থেকে ৪০ দিনের মধ্যে ফলন তুলা যায়। সে কারনে আমি এই হাইব্রিড করলা চাষ করেছি। ক্ষেতের মাটি গুলো কোদাল দিয়ে কুপিয়ে আগলা করে দিলে তাড়া তাড়ি গাছ বড় হয়ে যাবে আর তাতে ফলন ধরতে শুরু করবে। হাইব্রিড জাতের করলা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি সে জন্য আমরা এই জাতের করলা চাষ করে থাকি। আশা করছি এবার ভালো ফলন হবে।

আরেক কৃষক মোতালেফ বলেন, হাইব্রিড করলা মাত্র ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে ফলন দিয়ে থাকে। সে জন্য আমরা নদীর পাড়ের জমি গুলোতে বেশি হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করে থাকি। এই জাতের করলা চাষে অনেক খচর কম কিন্তু লাভ বেশি। বাজারে হাইব্রিড করলার চাহিদা অনেক বেশি থাকায় আমারা পদ্মা পাড়ের কৃষকেরা চর অঞ্চলের জমিতে গুলোতে হাইব্রিড করলা বেশি চাষ করে থাকি।

কৃষক মোতালেফ বলেন, হাইব্রিড করলা মাত্র ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে ফলন দিয়ে থাকে। সে জন্য আমরা নদীর পাড়ের জমি গুলোতে বেশি হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করে থাকি। এই জাতের করলা চাষে অনেক খচর কম কিন্তু লাভ বেশি। বাজারে হাইব্রিড করলার চাহিদা অনেক বেশি থাকায় আমারা পদ্মা পাড়ের কৃষকেরা চর অঞ্চলের জমিতে গুলোতে হাইব্রিড করলা বেশি চাষ করে থাকি।
গোয়ালন্দের কৃষকেরা হাইব্রিড করলা চাষে ব্যস্ত

উপজেলার সহকারি কৃষি অফিসার মো. ইমরান হোসেন বলেন, এ বছরে কেবল মাত্র হাইব্রিড করলা চাষ শুরু হয়েছে। চর অঞ্চলের কৃষকেরা এ জাতের করলা বেশি চাষ করে থাকে। কেবল মাত্র ৪০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড করলা চাষ হয়েছে। চর অঞ্চলের জমি গুলোতে আরো করলা চাষ হবে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here