Saturday, April 27, 2024

দৌলতদিয়ায় নারী নেত্রী নিখোঁজের ঘটনায় লতিফ শেখ ও তার স্ত্রী গ্রেফতার

মোজাম্মেলহক, গোয়ালন্দ: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নারী নেত্রী লিলি বেগম নিখোঁজ মামলার ১ নং আসামি যুবলীগ নেতা ও লতিফ শেখ (৪৮)ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ফরিদপুরের একটি দল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মোঃ সালাউদ্দিন গত ২৯ জুন বুধবার রাত ৯ টা দিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করেন। পরদিন ৩০ জুন তাদেরকে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ১ দিনের রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডে পাওয়া তথ্য সম্পর্কে কোনকিছু জানাতে চাননি এ কর্মকর্তা।

এ মামলার ৩ নং আসামি লতিফ শেখের ছেলে রবিউল শেখ (২৪)। আসামিরা দৌলতদিয়া শামসু মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা। লতিফ শেখ দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি।

নিখোঁজ লিলি বেগম দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাড়ীয়ালী এবং যৌনকর্মী ও তাদের সন্তানদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মরত বেসরকারি সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির কার্য্য নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি।
লিলি বেগম নিখোঁজ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন লিলির মেয়ে জামাই মুরাদ হোসেন।

মামলার অভিযোগে প্রকাশ, আসামী লতিফ শেখ দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর অভ্যন্তরে অবস্থিত লিলি বেগমের বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত ও অবস্থান করত। নিবির ঘনিষ্টতার কারণে লতিফ স্থানীয়ভাবে লিলি বেগমের স্বামী হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিল।। গত বছর ১০ নভেম্বর দুপুরে লিলি বেগমকে তার কথিত স্বামী লতিফ সেখ দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে শামসু মাষ্টার পাড়ায় তার নিজ বাড়ীতে ডেকে নেয়।

ওই দিন বিকেলে লিলি বেগমের আত্মীয় স্বজনরা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়েও অদ্যাবধি কোথায়ও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে তাকে উদ্ধারের দাবিতে মুক্তি মহিলা সমিতি,লিলির আত্মীয় -স্বজন ও পল্লীবাসীরা মানববন্ধন সহ নানাবিধ কর্মসূচি পালন করে।
এদিকে দীর্ঘ সময়েও গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ মামলাটির অগ্রগতি করতে না পারলে সেটি ফরিদপুর পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।

এ বিষয়ে মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম বলেন,লিলি বেগম আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন সহকর্মী। পল্লীর অসহায় নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তার অকস্মাৎ নিখোঁজ ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত, আতঙ্কিত। তবে দীর্ঘদিন পর হলেও এ ঘটনার প্রধান দুই আসামিকে পিবিআই গ্রেফতার করেছে। আশা করি লিলি বেগমকে পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হবে এবং অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here