Saturday, April 20, 2024

পাংশায় ড্রেন নির্মাণে অনিয়ম, কাজ বন্ধ করে দিলেন এলাকাবাসী

উজ্জল হোসেন, পাংশা: রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের সৈয়দ বায়তুল্লাহ নগড়ি এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী অবগত রয়েছেন এবং একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অবগত করা হয়েছে। একাধিকবার অবগত করা সত্ত্বেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের সৈয়দ বায়তুল্লাহ নগরের তালহা মিল্কের মোড় থেকে পাংশা সাব রেজিস্ট্রার অফিস সংলগ্ন নাদেরের বাড়ি পর্যন্ত ড্রেনটি নির্মাণাধী রয়েছে। এলাকাটি আবাসিক এলাকা। প্রায় এক বছর আগে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। ধীর গতিতে নির্মাণ কাজ করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাবাসীর। ড্রেন নির্মাণে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় বলে জানান এলাকাবাসী। ইতি মধ্যে ড্রেনের প্রায় অর্ধেক অংশের ৭০ ভাগ কাজ হয়ে গেছে। সম্প্রতি কাজটি বন্ধ রেখেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে ড্রেনটি নির্মাণ কাজের সঠিক মান রেখে দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি এলাকাবাসীর।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে কাজটি করার জন্য পায়তারা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এ সময় স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ড্রেন নির্মাণ কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রী উজ্জ্বল বলেন, আমরা জানি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কাজ করা হচ্ছে না। তবুও আমাদের কিছু করার নেই। আমরা মিস্ত্রী। আমাদের যে ভাবে কাজ করতে বলে, আমরা সেই ভাবে কাজ করি।

পান্না নামের আরেক মিন্ত্রী বলেন, আমরা শুনেছি এই কাজে ৬ ইঞ্চি পরপর রড দেওয়ার কথা। কিন্তুু রড দেওয়া হয়েছে ৭-৮ ইঞ্চি পরপর। ৮ ইঞ্চি মোটা করে ঢালাই দেওয়ার কথা, সেখাওে পরিমাপের চেয়েও কম ঢালাই দেওয়া হয়েছে। ড্রেনের উচ্চতার পরিমাপও নির্ধারিত পরিমাপের চেয়ে কম দেওয়া হয়েছে। যতটুকু নির্মাণ কাজ করা হয়েছে, এভাবেই করা হয়েছে। আমরাই করেছি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কন্ট্রাকটর মো. ফরিদুজ্জামান (ফরিদ) এসব অনিয়মের অভিযোগ শিকার করে বলেন, কাজটি আবুল কাশেম সারোয়ারের কাছ থেকে আমি কিনেছি। ২০১৮ সালে কাজটির টেন্ডার হয়। তখন মালামালের দাম কম ছিলো। অনিয়মের মধ্যে কাজ না করলে আমরা বেচে থাকতে পারবো না। অনিয়মের মাধমে কাজ করার বিষয়টি পৌরসভার প্রকৌশলীকে অবগত করেছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনিয়মের বিষয়টি প্রকৌশলীকে অবগত করেননি তিনি।

এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম শরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছে। গত ২১ তারিখে এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও কাজটির অনিয়মের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো। বর্তমানে কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজটির ড্রেন নির্মাণ কাজে নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম, কত টাকা বরাদ্দ, কাজের পরিমাপ, দরপত্রের তারিখ, নির্মাণ কাজের শেষ তারিখ সহ কয়েকটি তথ্য চাইলে তিনি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীর নিকট থেকে নিতে বলেন।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহবুদ্দিনের নিকট উক্ত তথ্য চাইলে তিনি অপারগতা শিকার করে বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারবো না। এই তথ্য দেওয়া পৌর মেয়র নিষেধ করেছেন।
পরে পৌর মেয়র ওয়াজেদ আলী মণ্ডল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রকৌশলীকে তথ্য দিতে নিষেধ করি নাই। এটা অফিসিয়াল বিষয়। এ বিষয়ে আমি কিছু বলি নাই।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here