Tuesday, November 12, 2024

বরিশালের ইত্যাদি ফুডস এবং আল আমিন বেকারির কারখানায় মোবাইল কোর্ট- দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড”

ঢাকাঃ  বুধবার (৩১শে আগস্ট) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে ইত্যাদি ফুড প্রোডাক্টস ও আল আমিন বেকারি, বিসিক শিল্প নগরী, কাউনিয়া, বরিশাল মেট্রো, বরিশালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

আল আমিন বেকারি ও ইত্যাদি ফুড প্রোডাক্টসের কারখানায় অভিযানকালে দেখা যায়, রুটি, বিস্কুট ও কেক মোড়কীকরণে লেভেলিং প্রবিধানমালা লঙ্ঘিত, ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ নেই, ফায়ার লাইসেন্স নেই, পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, কারখানার ফ্লোর অপরিষ্কার, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ নেই, ফ্রিজ নোংরা, মাংস ও আইসক্রিম এক ফ্রিজে রাখা, ডাস্টবিন খোলা, ডেট ম্যানেজমেন্ট ত্রুটিপূর্ণ, মাছি ও তেলাপোকার দৌরাত্ম, ক্রয় ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষিত নয়, পেস্ট কন্ট্রোল নেই, মানহীন কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হচ্ছে কেকে, বিএসটিআইয়ের সনদের ঘাটতি, অগ্রীম ডেট দিয়ে রাখা ইত্যাদি। এ সকল অপরাধে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ইত্যাদি ফুড প্রোডাক্টস ও আল আমিন বেকারি কারখানা কর্তৃপক্ষকে যথাক্রমে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) ও ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) মোট ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান অনাদায়ে ম্যানেজারদ্বয়কে ২ (দুই) মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ম্যানেজারগন তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক অর্থদণ্ড দিতে চান এবং তাৎক্ষণিক উক্ত অর্থদন্ড আদায় করা হয়।

ইত্যাদি ফুড প্রোডাক্টস ও আল আমিন বেকারি কারখানা কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। ইত্যাদি ফুড প্রোডাক্টস ও আল আমিন বেকারি কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন ও ঘাটতি কাগজপত্র অতিসত্বর সংগ্রহ করবেন।

বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, “খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।” এছাড়া তিনি খাদ্য ও খাদ্য স্থাপনা নিয়ে কারো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা ৩৩৩ তে কল করে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানাতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য অফিসার (এফএসও) এর নিকটও অভিযোগ করা যাবে। এছাড়া অনলাইনে জিআরএসে গিয়েও অভিযোগ জানানো যাবে।

অভিযানকালে বিএফএসএর মনিটরিং অফিসার জনাব মোঃ ইমরান হোসেন মোল্লা, বরিশালের নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব আবু নাসের মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, বরিশাল সদরের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক জনাব মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বিএফএসএ এর অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি চৌকস টিম উপস্হিত ছিলেন।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here