Monday, April 29, 2024

পানি-বন্দি রাজবাড়ীর পাংশা পৌরবাসী

উজ্জল হোসেন, পাংশা: কয়েক দিনের টানা বর্ষনে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভা-বাসী। পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা এখন পানির নিচে। মানুষের উঠানে ও ঘরের মধ্যে জলরাশির ছড়াছড়ি।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরেই বৃষ্টি হয়েছে। তবে সকালের দু ঘন্টা ভারি বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেছে পৌরসভার মাঠ। পৌর ভবনের বারান্দা পর্যন্ত পানি উঠে গেছে।

একদিন পেড়িয়ে গেলেও নামেনি পানি। এতে ভোগান্তিতে পরেছে পৌরসভায় সেবা নিতে আশা নাগরিকেরা। তবে পানি অপসারণে কাজ করছে পৌর কর্তৃপক্ষ বলে জানা যায়।

এদিকে পৌরসভার বয়স্ত ভাতা, বিধবা ভাতা সহ সকল ভাতাভোগীর তথ্য হালনাগাদ চলছে। অনেক বয়স্ক মানুষ আসছে। এই পানি পাড়ি দিয়ে পৌর ভবনে প্রবেশ করতে তাদের অনেক ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যায় এবং ময়লা আবর্জনার কারনে কিছু কিছু সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভাধীন মৈশালা ঋষিপাড়া (মাগুড়াডাঙ্গী দক্ষিনপাড়া মুখি রাস্তা), পৌর পিছন গেটের রাস্তা, কুড়াপাড়ার রাস্তা, দত্বপাড়ার রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও এসকল এলাকার অনেক বাড়ির ভিতরে, উঠানে ও রুমের মধ্যে জমে রয়েছে পানি। এক ঘন্টার ভাড়ি বৃষ্টিতেই কিছু কিছু এলাকায় দির্ঘদিন পানি জমে থাকে। যে কারনে দূর্ভোগ পোহাতে হয় পৌর বাসিন্দাদের। নারায়নপুর এলাকার বাসিন্দা খন্দকার আরিফুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ ভ্যাট, ট্যাক্স নেয় নিয়মিত, কিন্তু সেবা দেবার বেলায় নেই। নেই কোন কার্যকর ড্রেনেজ ব্যাবস্থা। আমরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রান চাই। আর একজন বলেন, এটা নাকি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা, এই তার নমুনা। খোদ পৌর ভবন চত্বরই পানির নিচে। পৌরসভার কাছে আমরা সঠিক সেবা চাই। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদুল নামে এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের ঋষিপাড়ার এই রাস্তাটি ভেঙ্গে বিভিন্ন স্থানে গর্ত তৈরি হয়েছে। এক ঘন্টা বৃষ্টি হলেই আমাদের এই রাস্তায় যে পানি জমে তা দীর্ঘ এক মাসেও শুকায় না। পানি বের হবার কোন রাস্তা নেই, এই বিষয়ে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরকে একাধীকবার বলা হলেও কার্যকরি কোন ব্যবস্থা তারা নেয়নি। পৌর-বাসীর এ সকল সমস্যা সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই। নামেই মাত্র ‘ক’ শ্রেণি পৌরসভা। বাস্তবে কোন মিল নেই। বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, জুতসই ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে পৌরসভার প্রতিটি এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং পুরাতন ড্রেনগুলো সংস্কার ও পরিস্কার করতে হবে। দ্রুত সুন্দর ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে পানি নিস্কাশনের মাধ্যমেই পৌর-বাসীদেরকে এ দূর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়া সম্ভব বলেই মনে করেন তারা।

পৌর মেয়র ওয়াজেদ আলী মণ্ডল বলেন, পৌরসভার ড্রেন ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে পানি বেধে গেছে। ড্রেন পরিস্কারের কাজ চলছে। আশা করি অতি দ্রুত পানি নিস্কাশন হবে।’

 

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here