ঢাকা : বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারিদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরক সই করেছে।
এর ফলে প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যেকোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজে নিবন্ধন করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। এ স্কিমের অধীনে ২০০০, ৩০০০, ৫০০০ এবং ১০,০০০ টাকার চারটি জমার অপশন রয়েছে।
স্বারক সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। সমঝোতা স্মারকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্মারকে সই করেন। এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলেখা রানী বসু, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। এছাড়া অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন। এরপর যে চারটি স্কিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো- প্রবাস (প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য), প্রগতি (বেসরকারি চাকুরীজীবীদের জন্য), সুরক্ষা (স্বকর্মে নিয়োজিতদের জন্য) এবং সমতা (স্বল্পআয়ের নাগরিকদের জন্য)।
যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর দেশের বিভিন্ন ধরণের যৌথ ও একক কোম্পানি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে। অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ ৮৭ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করেছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরটি হওয়ার ফলে এ সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রগতি পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করা অনেক সহজ হবে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ১৬,০০০ বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করেছেন। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে।
সূত্রঃ ২০ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস)