Friday, April 26, 2024

 মাকে ছাড়া কেমনে করবো ঈদ-নিখোঁজের তিন মাস পরও মাকে খুজে পায়নি অসহায় কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নিখোঁজের তিনমাস পার হলেও তার মাকে খুজে পায় নি অসহায় কামাল। মাকে ছাড়া কেমনে করবো ঈদ।  একমাত্র মা ই যদি না থাকে তাইলে ঈদের আনন্দ কি? যদি এমন হতো মা’মারা গেছে বা কেউ হত্যা করলেও যদি লাশ টা দাফন করতে পারতাম,তবুও মন কে শান্তনা দিতে পারতাম। অনেক খোঁজাখুঁজি করলাম,রাজবাড়ী জেলা সহ জেলার বাইরে ,কোন যায়গায় খোঁজাখুঁজি বাদ রাখিনাই। এমনটাই জানায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে অসহায় কামাল।

বাবা বিছানায় মা আর সে তাছাড়া আর কেউ নেই তার এ দুনিয়ায়। মাকে না পেয়ে আপসোস করে জানায় মায়ের মুখ্যখানা কতদিন দেখিনা?

অসহায় দরিদ্রে ঘরের ছেলে কামাল জানায়,   আমার মা’ রাবেয়া খাতুন(৫০) তিনমাস আগে ২১শে ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ৫টা থেকে সারে৫টার দিকে চুলায় রাতের রান্না বসিয়ে বানীবহ ইউনিয়নের মহিশ বাতান নাওড়াপাড়া এলাকায় মামা’র বাড়ীর উদ্দেশ্যে যায়। আমি  সন্ধার পর বাড়ীতে গিয়ে দেখি মা বাড়ীতে নাই। চুলায় আগুন নিভেগেছে,ভাতের চুলার উপরেই রয়েছে। তরকারি কাটা ,এসে রান্না করবে।  আমি মা’কে না পেয়ে আমার মামা রুস্তম মিয়াকে ফোন দেই পরে সে ফোন কেটে দেয় পরে আমি শুয়ে পরি। এর আগেও মা’ মামাদের বাড়ীতে অনেকবার গিয়েছে একরাত পর ই আবার চলে এসেছে। এই দিন আর না আসায় সকালে মামাদের বাড়ীতে গিয়ে জিজ্ঞাস করি। পরে বলে ঘুম থেকে উঠে মনে হয় অনেক রাতেই চলে গেছে আমরা দেখিনাই আবার বলে আমাদের বাড়ীতে আসেন নাই। পরে আমি সেখান থেকে চলে এসে এদিক সেদিক জেলার বাইরেও অনেক যায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় সাধারণ করি । বিভিন্ন যায়গায় মাইকিং করি। কোথাও খুজে পাইনা। আমার একমাত্র সম্বল মা’কে ছাড়া কিভাবে ঈদ করবো। ?

মাকে খোঁজাখুঁজির সময় বানিবহ বাজারের গিরিলের দোকানদার রইস জানান, আমি মটর সাইকেল নিয়ে বাড়ী যাওয়ার সময় দেখালাম তোমার মাকে কেজি খানেখ আটা হাতে তোমার মামাদের বাড়ীর দিকে যাইতে । ঐ দোকানের কর্মচারি ইউসুফ বলেন , তোমার মাকে দেখলাম আটা কিনে দাঁড়ায়ে আছে বানীবহ বাজারে। কথা বললাম বলল মহিষ বাতান ভাইদের বাড়ীতে যাবে।

কামাল জানায় রইস আর ইউসুফের কথা ও অন্যান্যদের কথা শুনে আমি নিশ্চিত হইযে ,মামার বাড়ীর সাথেই রহমান দের বাড়ী আর রহমান দের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্তি বিরোধ ছিলো। আমার অনুমান হয় রহমান মুন্সি ও তার ছেলেরা মিলে আমার মাকে গুম বা হত্যা করতে পারে।

কারন ২০১৫ সালের দিকে আমি নানা বাড়ীতে মায়ের সাথে থাকতাম। তখন আমার নানার জমি অনেকটুকু রহমানেরা জোড় করে খেতো। এ রহমানদের সাথে আমাদের দ্বন্দ ছিলো। এর আগে আমি একরাতে আমি আর মা আমাদের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম পরে জমি সংক্রান্ত ঘটনায় রহমান মুন্সির ভাড়া অটো চালাতো এলাকার কালিবাড়ীর বিষা শেখ এর ছেলে সেলিম শেখ কে দিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। ঐ ঘটনায় সেলিম থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে স্বীকার করেছিলো যে রহমান মুন্সি সেলিম কে টাকা দিয়ে আমার উপর হামলা করায়। আমি রাতেই পালিয়ে যাই ভয়ে। আমাকে মনে করে আমার মায়ের উপর হামলা চালায়। টিনের ঘরে কোপ দিয়ে বেড়া কেটে ফেলে তারা। সকালে এসে দেখি মা বাড়ীতে নাই ,মামার বাড়ীতে ।পরে মাকে নিয়ে বাড়ীতে এসে দেখি বাড়ী ঘরের বেহাল অবস্থা। এলাকার মিয়াজুদ্দির ছেলে খলিল জানায়, সেলিম ও তার লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়েছিলো। পরে আমি সহ এলাকাবাসী সেলিমকে ধাওয়া করলে সে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে সেলিম ও রহমানের ছেলে আজিজ আমাকে বিভিন্ন যায়গায় দেখা হলেই আক্রমণ করার চেষ্ঠা করে ।

এলাকায় টিকতে না পেরে পরে সেখানকার জমি বিক্রি করে পৈতৃক ভিটা আলীপুর ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের হোগিলাডাঙ্গী গ্রামে বাড়ী করি। এখানে এসেও তাদের অত্যাচারের শিকার হয়েছি বহুবার।

আমার মা নিখোজের পেছনে তাদের হাত রয়েছে ধারণা করে আমি থানায় অভিযোগ করি। পতিকার না পেয়ে পরে আমি আদালতে মামলা করি( মামলা নং-১৮৩/২২)।  কোর্টে মামলা করার পর মামলা উঠিয়ে ফেলার জন্য আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিচ্ছে। আমি পরে আমার নিরাপত্তার জন্য থানায় সাধারণ ডায়রী করি( জিডি নং-২০৯)।

কামাল বলেন, আমি আমার মাকে হারিয়ে একদিকে ব্যাথায় কাতর অন্য দিকে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে দিন কাটাচ্ছি। তাই আমি আইনের সঠিক বিচার চাই। আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই,আমার মাকে চাই। এবার ঈদ আমি মাকে ছাড়া কিভাবে করবো। আমার ঈদ ই তো আমার মা। আমার মা নাই আমার ঈদ ও নাই।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here