মোজাম্মেলহক , গোয়ালন্দ ( রাজবাড়ী):দক্ষিন পশ্চিমঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটের ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দ তৈরী হয়েছে। খানাখন্দের মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় সড়কের পিচ ( বিটুমিন) দুর্বল হয়ে উঠে যাচ্ছে। খানাখন্দের কারনে যানবাহন মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৫ নাম্বার ফেরী ঘাটের সড়ক থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে প্রায় চার কিলোমিটার জুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ। বিশেষ করে আশা সুপার মার্কেটের সামনে, কুষ্টিয়া কাউন্টার, পেট্রোল পাম্প ও মডেল হাই স্কুলের বিপরীত দিকে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ার কারনে যানবাহন গুলোকে হেলেদুলে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়াও বাইপাস সড়কের মাথায় খানাখন্দের কারনে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কের পাশে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, সড়কে খানাখন্দের কারনে মাঝেমধ্যেই যানবাহন চাকা আটকে দুর্ঘটনার শিকার হন। এতে যানবাহন উল্টে দোকানে উপর পড়ার আংশঙ্কা থাকে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কুষ্টিয়া বাস কাউন্টারের বিপরীত দিক মাহেন্দ্রচালক স্ট্যান্ড সেখানে খানাখন্দে জমে থাকা পানির মধ্যেই মাহেন্দ্রে যাত্রী উঠা নামা করছে।
মাহেন্দ্র চালক বাচ্চু মোল্লা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এখানে মাঝেমধ্যে কিছু ইটের আধলা ফেলে মেরামত করা হয়। কয়েক দিনের মধ্যে ইটের আধলা ভেঙ্গে আগের অবস্থায় ফিরে যায়। বড় গাড়ি ছাড়া মাঝেমধ্যে মাহেন্দ্র, অটোরিকশা, এমনকি মোটরসাইকেলও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা সাকুরা পরিবহনের ঘাট তত্ত্বাবধায়ক মো. রাজু মোল্লা বলেন, মাঝেমধ্যে সড়ক বিভাগ থেকে ট্রাকে করে কিছু ইটের আধলা, পিচ( বিটুমিন), পাথর ঢেলে কোনো রকম ঘষা দিয়ে চলে যায়। দুদিন পর আবার আগের মতো হয়ে যায়। ভালোভাবে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ না করলে সড়ক ভালো হবে না। এভাবে খানাখন্দের মধ্যে যানবাহন চলাচল করলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
যশোর থেকে পোনা মাছ বোঝাই পিকআপ ( ঢাকা মেট্রো ন ২০- ৪৪৪৫) চালক রায়হান বেপারী বলেন, ছোট গাড়ী খানাখন্দের মধ্যে চাকা পড়লে উঠতে পারবো না। দুর্ঘটনার আশংখা রয়েছে। সড়কের খানাখন্দের কারনে গাড়ীর মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। মহাসড়কের খানাখন্দ মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছি।
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.নওয়াজিস রহমান বলেন, মহাসড়কের খানাখন্দের স্থানে
ইটের আধলা দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। বৃষ্টির কারনে বিটুমন দিয়ে কার্পেটিং করা সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টি কমলে রৌদ্র উঠার পর সড়ক মেরামত করা হবে।